মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
জেলা গ্রামীণ পুলিস সুপার তথাগত বসু বলেন, পলাতক সোনু ওরফে সাহাবুদ্দিনকে আমরা আসানসোল পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছি। আমাদের এক সিভিক ভলান্টিয়ার সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বৃহস্পতিবার তাকে ধরেছিল। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক খুনের মামলা আছে। সুরজ অবশ্য ঘটনার পর প্রশংসার বন্যায় ভেসে গিয়ে কিছুটা লাজুক হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, আসলে আমাদের থানার বড়বাবু থেকে অফিসাররা সকলেই খুব সাহসী। তাঁদের দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছি। শেষপর্যন্ত একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে এটাই বেশি আনন্দের।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শাশুড়িকে গুলি করা এবং স্থানীয় মোড়লকে খুন করা সহ একাধিক খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিল জামুড়িয়ার সাহাবুদ্দিন। ২০০৭ সাল থেকে ওই খুনের মামলা তার বিরুদ্ধে চলছে। সেই সময়েই গ্রেপ্তার হয়ে ওই ব্যক্তি আসানসোল সংশোধনাগারে ছিল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে তোলার পথে সে পালিয়ে যায়। এরপরেই সে পোলবার রাজহাট মোড়ে দিল্লি রোডের কাছে আত্মগোপন করে। এরমধ্যে স্ত্রী আনমোল সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহাবুদ্দিন।
পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে আনমোল সুলতানার কাছ থেকে পোলবার সিভিক ভলান্টিয়ার সুরজ সিং ওই ব্যক্তির ঠিকানা পান। বৃহস্পতিবার রাজহাটের কাছেই আড্ডা দিচ্ছিলেন সুরজ। তখনই অচেনা এক ব্যক্তিকে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যেতেই সে পালাতে শুরু করে। ধাওয়া করেন সুরজ। দিল্লি রোডের ধারে একটি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে সে। সুরজও পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে ধরে ফেলেন। পরে পোলবা থানার পুলিস এসে তাকে ধরে। তারপরেই ধৃতকে সাহাবুদ্দিন বলে শনাক্ত করে পুলিস।