মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, একটি অভিযোগ পেয়ে রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে গত ১৭ জানুয়ারি ছুটিতে পাঠিয়েছিলেন উপাচার্য। অন্য এক অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ করেন তিনি। ২১ জানুয়ারি সহ উপাচার্য দেবাংশুবাবুকে পুনর্বহালের নির্দেশিকা জারি করেন। যা নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট হন উপাচার্য। গত ২৪ জানুয়ারি প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রকাশ্যে উপাচার্য ও সহ উপাচার্যের বাগবিতণ্ডা ঘটে। নজিরবিহীন এই ঘটনা দেখে সকলে হতবাক হয়ে যান। কথাকাটির পর সহ উপচার্য প্রশাসনিক ভবনে অবস্থানে বসেন। পরে তিনি ‘অসুস্থ’ হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিনই তাঁকে চিকিৎসকরা হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেন।
ওই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ অধ্যাপক অধ্যাপিকা, অশিক্ষক কর্মচারীরা দেবাংশু রায়ের পক্ষ নিয়ে আন্দোলনে নামেন। উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের একটি প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করে। প্রতিনিধি দলের রিপোর্টের ভিত্তিতেই উচ্চ শিক্ষা দপ্তর এদিন নির্দেশিকা জারি করেছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের সেক্রেটারি শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটি চিঠি লেখেন। তাতে লেখা হয়েছে, ‘২০১৭ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪(১)(৩) ও ৪৪(৪) ধারা অনুযায়ী আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, অবিলম্বে দেবাংশু রায়কে পুনর্বহাল করুন। উচ্চ দপ্তরের তদন্তে উঠে এসেছে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হয়নি, তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়নি। তাঁর বক্তব্য না শুনেই তাঁকে ছুটিতে পাঠানো যেতে পারে না। এই নির্দেশিকার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তার রিপোর্ট পাঠাতে হবে।’
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন না উপাচার্য। তিনি বহরমপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কাজে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের নির্দশিকা পেয়েই দেবাংশু রায় এদিন কাজে যোগ দিতে যান। তবে তাঁর ঘর তালাবন্ধ ছিল। তিনি উপাচার্যকে একটি মেল পাঠিয়ে কাজে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য গৌতম পাল বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা মানতে হবে। এটাই নিয়ম।
তবে উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ কি রাজ্য সরকারের নির্দেশকা মানবেন? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে দরবার করতে পারেন উপাচার্য? তা নিয়ে অবশ্য উপাচার্যের ঘনিষ্ঠরা এখনই কিছু জানাচ্ছেন না। উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে রেজিস্ট্রারকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। আইনের বাইরে কিছু করা হয়নি। রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা পেয়েছি। আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে।