মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
প্রথম দিনে পড়েছিল ১৩টি উইকেট। দ্বিতীয় দিনে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ১৬। পাতিয়ালার পিচ নিয়ে তাই বিতর্ক থামছে না। বিসিসিআইয়ের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও পিচের আচরণ অবাক করেছে অনেককেই। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের কেউ কেউ বলছেন, এই ধরনের উইকেটে রনজি খেলা হলে আখেরে ক্ষতি ভারতীয় ক্রিকেটেরই।
প্রথম দিনে বাংলা ১৩৮ রানে অল-আউট (প্রথম ইনিংসে) হওয়ার পর পাঞ্জাব ব্যাট করতে নেমে ৯৩ রান তুলেছিল ৩ উইকেট হারিয়ে। সেখান থেকেই দ্বিতীয় দিন শুরু করে আয়োজক রাজ্য। কিন্তু শাহবাজ আহমেদের স্পিনের ছোবলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাঞ্জাবের ব্যাটিং। মাত্র ১২৫ রান ব্যয় করে বিপক্ষ দলের ৯ জন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান বাংলার বোলাররা। একটা সময় মনে হয়েছিল, প্রথম ইনিংসে সামান্য হলেও লিড পাবেন অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। কিন্তু আনমোল মালহোত্রা একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলার বোলারদের কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে দেন। শেষ পর্যন্ত তিনি যখন আকাশ দীপের বলে ৪৪ রানে আউট হন, তখন পাঞ্জাবের স্কোর ১৫১। শাহবাজ ২০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৭টি উইকেট। তিনটি উইকেট পেয়েছেন আকাশ দীপ।
১৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বাংলা। প্রথম ইনিংসের মতো ফের ব্যর্থ ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ (৪)। ওপেনার কৌশিক ঘোষের সংগ্রহ মাত্র ১২ রান। অভিষেক রামন ১ রান করেই মাঠ ছাড়েন। ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলা। অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন, অরুণ লালের ছেলেদের আর হয়তো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হল না।
ঝুঁকি নিয়ে চার নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয় অর্ণব নন্দীকে। বাংলার টিম ম্যানেজমেন্টের এই সিদ্ধান্তটা দারুণ কাজে লেগে যায়। চতুর্থ উইকেটে মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে অর্ণব ১০৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। শেষ পর্যন্ত চারটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে অর্ণব ৯৮ বলে ৫১ রান করে আউট হন। একটা সময় এই অর্ণবই ব্রাত্য ছিলেন বাংলা দলে। ক্ষোভে তিনি রেলের হয়ে খেলতেও চলে গিয়েছিলেন। বাংলার কোচ অরুণ লাল ভূয়সী প্রশংসা করলেন মনোজ তিওয়ারির। কারণ, দুই ইনিংসে মনোজ যে ইনিংস খেললেন, তা সত্যিই মনে রাখার মতো। প্রথম ইনিংসে তিনি ৭৩ রানে অপরাজিত না থাকলে ম্যাচ থেকে আগেই ছিটকে যেত বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসেও মনোজের ৬৫ রান বাংলার জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছে। প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাট থেকে বেরিয়েছে সাতটি বাউন্ডারি। একটা সময় বাংলা ৪ উইকেটে ১৪৬ রানে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু মনোজ আউট হওয়ার পরেই ফের বাংলার ব্যাটিংয়ে ধস নামে। মাত্র সাত রানে পড়ে শেষ চারটি উইকেট। শ্রীবৎস গোস্বামী (২৪) অনুষ্টুপ মজুমদার (২৬) শুরুটা ভালো করেও ইনিংস দীর্ঘায়িত করতে পারেননি। বিশ্রী শট খেলে আউট হন শাহবাজ (০)। ১৯০ রানে পর পর তিনটি উইকেট পড়ে। যা দেখে বেশ ক্ষুব্ধ কোচ অরুণ লাল। ঋত্বিক চ্যাটার্জি ৩ ও রমেশ প্রসাদ ৬ রানে ক্রিজে আছেন। তবে বল যেভাবে টার্ন করছে, তাতে এই পুঁজি নিয়ে পাঞ্জাবকে হারানো উচিত বাংলার।