কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
গত শনিবার কেতুগ্রামের কোমরপুর ও গোপালপুর গ্রামের আশপাশে বীরভূম থেকে গুলতি, শিকারের নানা সরঞ্জাম নিয়ে বেশ কয়েকটি দল আসে। তারা মোটরভ্যান, ট্রাক্টর ও বাইক নিয়ে এসেছিল। সারাদিন ধরে তারা শিকার করে। বিকেলের দিকে বনদপ্তর ও কেতুগ্রাম থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। তারপরেই সন্ধ্যার দিকে ৩০জনকে গ্রেপ্তার করে বনদপ্তর। প্রচুর গুলতি বাজেয়াপ্ত করা হয়। চারশোর বেশি পাখি ও বন্যপ্রাণী শিকার করেছিল তারা। তারমধ্যে বেশকিছু বিলুপ্তপ্রায় পশু-পাখি ছিল। বনদপ্তরের এক কর্মী জানান, ধরে না ফেললে ট্রাক্টরভর্তি করে পাখি মারা হতো।
কাটোয়ার অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক তথা বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। শিকার আটকাতে হবে। গ্রামের বাসিন্দারাও যাতে শিকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, সে ব্যাপারেও আমাদেরও সচেতনতা-প্রচার চালাতে হবে। উল্লেখ্য, বনদপ্তর ইতিমধ্যেই মৃত পাখি ও বন্যপ্রাণীদের ময়নাতদন্ত করেছে। সেখানেও গুলতির আঘাত ও পিটিয়ে মেরে ফেলার তথ্য উঠে এসেছে। এত বড় পাখি হত্যালীলায় বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।