কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
এদিকে ঘাটলের সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) জানিয়েছেন, আমি ঘাটাল এলাকার বাসিন্দাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যখন কথা দিয়েছেন তখন আর কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ভরসা না রেখেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হবে। কথামতো সেচ দপ্তর ভোটের পরই এনিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছে। প্রত্যেক বছর বর্ষার সময় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ১৩টি ব্লকের ১৬৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। ফলে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়। গবাদি পশু মারা যায়। তাই ওই বিস্তীর্ণ এলাকাকে বন্যা মুক্ত করতে ১৯৮২ সালে রাজ্যের তৎকালীন সেচমন্ত্রী ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের শিলান্যাস করেন। কিন্তু শিলান্যাস হলেও সেই থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ এক বিন্দু এগয়নি। পরে মাস্টার প্ল্যানের জন্য ১৭৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প ধরা হয়। প্রথম ধাপে ১২১৪ কোটি ৯২ লক্ষ টাকার কাজ হওয়ার কথা।
দেব ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে সংসদে বহুবার প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঘাটালের মানুষের দুর্দশা লাঘবের জন্য কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে দেব খুব হতাশ হয়ে যান। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান না হলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে একপ্রকার ঠিক করেন। কেন্দ্রের প্রতি তিতিবিরক্ত হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির এক সভা থেকে ঘাটালের সংসদ সদস্য দীপক অধিকারীকে (দেব) সামনে রেখে রাজ্যের উদ্যোগেই মাস্টার প্ল্যান কার্যকরী করার কথা ঘোষণা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সভায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলেও রাজ্য সরকার নিজেদের অর্থে ওই মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ করবে। লোকসভা নির্বাচন মিটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ১২ জুন এনিয়ে সেচমন্ত্রী রাজ্যে মিটিং করেছিলেন। সেই বৈঠকেই প্রস্তাব ছিল দাসপুরের দু’টি সেচ খালকে শিলাবতী ও কংসাবতীর সাথে যুক্ত করে জলের চাপ কমানোর। সেই মতোই সেচদপ্তরের আধিকারিকরা ফিল্ডে এসে জমি জরিপ এবং সমীক্ষার কাজ শুরু করলেন। মাস্টার প্ল্যান নিয়ে রাজ্য সরকারের তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করায় ঘাটাল মহকুমার মানুষ অত্যন্ত খুশি। তাঁরা বলেন, আমরা ভাবতে পারিনি রাজ্য সরকার লোকসভা ভোটের আগে যা কথা দিয়েছিল, সেটা বাস্তবায়িত করার জন্য এত তাড়াতাড়ি মাঠে নেমে পড়বে।