কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোটের আগে জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছিল প্রশাসন। সেইমতো প্রস্তাবও গৃহীত হয়। কিন্তু ভোটের জন্য সেই কাজ আটকে ছিল। বৃহস্পতিবার জেলার সমস্ত দপ্তরকে নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি। বৈঠকেই তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, হাসপাতাল নির্মাণে কত খরচ হবে, এক মাসের মধ্যেই তার হিসেব জমা দিতে। সূত্রের খবর, আগামী ২০২৫ সালের শুরুতেই সেইসব হাসপাতাল চালুর তোড়জোড় চলছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, কেশপুর ব্লকের কেশপুর, আনন্দপুর ও কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরেই অতিরিক্ত ৬০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। আনন্দপুরে মাত্র ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল রয়েছে। এর জেরে ব্যাপক অসুবিধায় পড়তে হয় স্থানীয়দের। সঠিক চিকিত্সা পরিষেবা পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেফার করে দেওয়া হয়। সেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে, কেশপুর হাসপাতালের উপরেও ব্যাপক রোগীর চাপ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে রোগী রেফার করা হয়। তাছাড়া, এই হাসপাতালে মাসে গড় ৩০০ প্রসুতির প্রসব হয়। যদিও, হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ দোতলায় হওয়ায় প্রবল সমস্যায় পড়তে হয় মহিলাদের। সন্তান হওয়ার আগে কিংবা সিজার হওয়ার পরে সিঁড়ি দিয়েই ওঠানামা করতে হয় প্রত্যেককে। তাছাড়া, গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে প্রসবের আগে পর্যন্ত মহিলারা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আসেন হাসপাতালে। কিন্তু তাঁদেরও সিঁড়ি ভেঙেই দোতলায় উঠতে হয়।এ ব্যাপারে প্রশাসন যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করে, সেই জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন ব্লকের বাসিন্দারা। তাঁদের সেই দাবির কথা মাথায় রেখে কেশপুরে ৬০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। পাশাপাশি আদিবাসী অধ্যুষিত কেশিয়াড়িতেও ৬০ শয্যার হাসপাতাল হবে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ডাক্তার, নার্স, থেকে অত্যাধুনিক ল্যাব- সবকিছুই থাকবে। রেফারের সংখ্যাও কমবে। অন্যদিকে, ক্ষীরপাইয়ের রামকৃষ্ণপুর ও চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের ভগবন্তপুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট গ্রামীণ হাসপাতালে উন্নীত করা হবে। এছাড়াও, খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলি, পাঁচকুড়ি ও বেলদার রাধানগরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিরও উন্নতি করা হবে।