কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে ৮৫.২৮শতাংশ মহিলা ভোট দিয়েছেন। জামালপুরে ৮৫.৬৭ শতাংশ মহিলা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। জেলার অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেও বিপুল সংখ্যক মহিলা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে জামালপুর বা পূর্বস্থলী বিধানসভা কেন্দ্রর মহিলারা তাঁদের টেক্কা দিয়েছেন।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে সবচেয়ে কম সংখ্যক মহিলা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে তা নিয়ে শাসক শিবির চিন্তিত নয়। তাঁদের দাবি, এই ছবি প্রথম নয়, এর আগেও নির্বাচনগুলিতে দেখা গিয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দুর্গাপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৭৬.৮৩ শতাংশ মহিলা ভোট দিয়েছিলেন। দুর্গাপুর পশ্চিমে ৭৬.৪০শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০২১ সালের নির্বাচনে দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে যথাক্রমে ৭১.৫৩ এবং ৬৯.৪৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এবারের নির্বাচনে ৭৪.১৫ এবং ৭৩.৭৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে এই কেন্দ্রের অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে মহিলারা পুরুষদের টেক্কা দিয়েছেন। তৃণমূল নেতা স্বপন দেবনাথ বলেন, মহিলারা জানেন দিদিই একমাত্র তাঁদের পাশে থাকেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে তাঁদের সম্মান দিয়েছেন। কারও কাছে তাঁদের হাত পাতার দরকার হয় না। মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হয়েছে। এছাড়া পড়াশোনার জন্য তাঁদের চিন্তা করতে হয় না। তাই মহিলারা অন্য কোনও দলকে ভোট দেবেন না, তা নিয়ে আমরা নিশ্চিত।
বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, এরকম ভোট এর আগে বর্ধমান দেখেনি। ৪জুনের পরই তৃণমূল বুঝতে পারবে। মহিলারা ওদের মুখের মতো জবাব দিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ প্রচারে নেমে দিলীপবাবুর মহিলাদের উদ্দেশ্যে করা নানা মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছিলেন। বিজেপি প্রার্থী তৃণমূল নেত্রীর সম্পর্কে কুৎসিত মন্তব্য করেছিলেন। তৃণমূল প্রার্থী প্রচারে বলেন, বিজেপি পুরো বাংলার মেয়েদের অপমান করেছে। তার জবাব ওরা ইভিএমে পাবে। তবে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো মহিলারা কোন দলকে জবাব দিলেন তা ৪জুনের পরই বোঝা যাবে।