কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
রাজ্যে পালাবদলের পর জেলায় জেলায় ‘নবান্নকে’ নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মুখ্যসচিব, ডিজি সহ বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের নিয়ে নিয়মিত জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন। কিন্তু পুরসভাগুলিকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক এই প্রথম। আজ নবান্নের সভাকক্ষে বৈঠক হবে। ইতিমধ্যে কলকাতায় পৌঁছেছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ উত্তরবঙ্গের সমস্ত পুরসভার চেয়ারম্যান ও এগজিকিউটিভ অফিসাররা। উন্নয়নের খতিয়ান সহ ভোটের ফলাফলের তথ্য মেয়র ও চেয়ারম্যানরা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান টেলিফোনে বলেন, এই প্রথম পুরসভাগুলিকে নিয়ে বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বার্তার অপেক্ষা রয়েছি। বৈঠকে তিনি যা নির্দেশ দেবেন তা মেনেই আগামীতে চলব। এজন্য কলকাতায় আছি।
প্রসঙ্গত, এবার লোকসভা ভোটে শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৬টিতেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের নিজস্ব ওয়ার্ডে দল লিড পায়নি। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু প্রধান ৬ নম্বর ওয়ার্ডে লিড পায় তৃণমূল। কোচবিহার, দিনহাটা, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি সহ প্রতিটি পুরসভার অবস্থাও একই। কয়েকদিন আগে প্রতিটি শহরে ঘুরে দলীয় কাউন্সিলার ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করার পর কাউন্সিলারদের জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে যান।
এই অবস্থায় আজ পুরসভাগুলির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ওই বৈঠকে ভার্চুয়ালি শামিল হবেন প্রতিটি পুরসভার কাউন্সিলার এবং প্রশাসনের আধিকারিকরা। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি শহরে প্রচুর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ভোটে দলের ভরাডুবি হয়েছে। কাউন্সিলারদের জনসংযোগে ঘাটতি অন্যতম কারণ। এছাড়া অবাঙালি ভোট দলের অনুকূলে আসেনি। বাম ও কংগ্রেস ভোটও পড়েছে রামের ঝুলিতে। তবে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে এর বদলা নেওয়া হবে।
শিলিগুড়ি পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ ও সাফাই বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য তথা তৃণমূলের টাউন-২ কমিটির সভাপতি মানিক দে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি ওই সভায় থাকব। দল ও পুরসভা পরিচালনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গাইড লাইন দেবেন বলেই আশা করছি। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার অপেক্ষায় রয়েছি। তবে পুরমন্ত্রীর সভার পর থেকেই ওয়ার্ডে মাটিকামড়ে পড়ে আছি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই শহর মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার দেবই।