কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর উত্তপ্ত হয়েছিল দিনহাটা মহকুমা। কয়েক মাস বাড়িছাড়া ছিলেন এবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে আক্রান্ত হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তৃণমূল ও বিজেপির একাধিক পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়েছিল। বিধানসভার ফল ঘোষণার পরে দুই বিজেপি সমর্থক খুনও হয়েছিলেন।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও ভোটের পর প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র বিক্ষিপ্তভাবে উদ্ধার হয়েছে মহকুমায়। পুলিসের রিপোর্ট অনুযায়ী রুইয়েরকুঠি, ভেটাগুড়ি বাজার, খারিজা বালাডাঙা, ফুটানির বাজার, মহাকাল ধাম সহ আরও কয়েকটি এলাকায় বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। মাতালহাটের বোরোডাঙা, পাখিহাগা, মাতালহাট বাজারে পঞ্চায়েত ভোটের পর ঝামেলা হয়েছিল। এবারে লোকসভা ভোটের সময়ও উত্তপ্ত ছিল সংশ্লিষ্ট এলাকা। ১৯ এপ্রিল লোকসভা ভোটের আগের দিন গোসানিমারির মালিরহাটে গণ্ডগোল হয়েছিল। তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে দুই তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছিলেন। ভোটের দিন পেটলার রাজাখোরায় তৃণমূলের একটি ক্যাম্প অফিস ভেঙে দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল বেঁধেছিল। ওই এলাকার মাসাণপাট, আলোকঝারিতে গণ্ডগোলের সম্ভাবনা রয়েছে। বড় শোলমারির জয়মণিহাট বাজার, বাত্রিগাছ বাজারে ভোটের ফলের পরে হিংসার সম্ভাবনা আছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। আঁটিয়াবাড়ির ঝুড়িপাড়া, রাধানগর কলোনি, পেউলাগুড়ি, ফকির তকেয়া স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পুরো ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত পুলিসের নজরে। গীতালদহের নবনী, নিউ গীতালদহ স্টেশন, দড়িবস-২, হরিরহাট বাজার, গীতলদহ বাজার স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। দিনহাটা শহর সংলগ্ন ভিলেজ-১ ও ২’র গড়েরমাঠ, ফকিরটারি, আমবাড়ি, ২ নম্বর পুল, ভাগ্নি এলাকাও পুলিস নজরে রাখছে। এছাড়া দিনহাটা শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ড, গোধূলিবাজার, স্টেশন চৌপথি, সাহেবগঞ্জ থানার অধীন নাজিরহাট, শালমারা, বুড়িরহাট, বড় শাকদল, সিতাই থানার সিতাই-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিবালাহাট, পাগলাহাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকা হিংসাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।