মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরে বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে পুরসভার চেয়ারম্যান অন্যতম। শহরের ২৪নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর বাড়ি। গত পুরভোটে তিনি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড থেকেই নির্বাচিত হন। এদিন সকালে দক্ষিণ ভারতনগরে নিজের নতুন ওয়ার্ড কার্যালয় খোলার পর তিনি নির্যাতিত হন। স্থানীয় সূত্রের খবর, সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নতুন ওয়ার্ড কার্যালয় খোলেন প্রতুলবাবু। কিছুক্ষণের মধ্যে সদলবলে অফিসটিতে চড়াও হন স্থানীয় বিজেপি নেতা বিকাশ। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এক-দু’কথায় উত্তেজিত হয়ে প্রতুলবাবুর গায়ে বিজেপি নেতা হাত দেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে অফিসটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ঘটনাস্থলে সশস্ত্র পুলিস কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান ওয়ার্ড কার্যালয়টি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই নতুন ওয়ার্ড কার্যালয় খুলতে কংগ্রেসের কাছে তাদের পার্টি অফিসটি চাই। দীর্ঘদিন ধরে সেটি বন্ধ। জেলা কংগ্রেস নেতারা আমরা প্রস্তাব মেনে নেন। তাঁরা চার বছরের জন্য অফিসটি দিয়েছে। এদিন কংগ্রেস নেতারাই অফিসের দরজা খুলে দেন। এরপর বিজেপি নেতা সেখানে হাজির হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমকনী, আমাকে শারীরিকভাবে হেনস্থাও করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার খবর পেয়ে পুরসভার মেয়র গৌতম দেব ও ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ডেপুটি মেয়রকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর সংশ্লিষ্ট অফিসের তালা খুলে ঘরে প্রবেশ করেন মেয়র। তিনি বলেন, আইন মেনে নাগরিকদের স্বার্থে অফিসটি খুলেছেন চেয়ারম্যান। তবু তাঁকে হ্যাকেল করা হয়েছে। এই ঘটনা বরদাস্ত করা যায় না। এ ব্যাপারে পুলিসকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলব।
অভিযুক্ত বিজেপি নেতা অবশ্য হেনস্তার অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, বহু আগে সেটি কংগ্রেস অফিস ছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমি অফিসটির উন্নয়ন করি। বেশ কয়েক বছর ধরে সেখান থেকে আমি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজকর্ম করছিলাম। এদিন এনজেপি সহ আশপাশ এলাকার লোকদের নিয়ে তালা ভেঙে অফিসটি দখল করেন চেয়ারম্যান। এর প্রতিবাদ করেছি। কাউকে হেনস্তা করিনি।
অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। শুধু তাই নয়, তাঁরা প্রতুলবাবুর পাশেও দাঁড়িয়েছেন। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জীবন মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ কংগ্রেস কার্যালয়টি কাউন্সিলারের ওয়ার্ড অফিসার খোলার জন্য প্রতুলবাবুকে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে প্রতুলবাবুর সঙ্গে লিখিত চুক্তিও হয়েছে। কিন্তু, অফিসটি বিকাশ সরকারের নয়। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি।