মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের অভিযোগ, নালাগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। সেজন্য আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে নালাগুলি মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করা হলে অবশ্য এই সমস্যা থাকবে না বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। যদিও সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোটা পঞ্চায়েত এলাকায় আটটি নালা তৈরি করা হয়েছে। সদর এলাকাতেও নতুন করে নালার কাজ করা হচ্ছে। জল জমাটা সাময়িক। আগামী দিনে এই জল আর জমবে না। এছাড়াও সব মিলে গ্রামে ২২ কিমি বেশি রাস্তা করা হয়েছে। ২০টি বেশি লাইট বসানো হয়েছে।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস আটটি, বিজেপি চারটি এবং কংগ্রেস একটি আসনে জয় লাভ করেছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে তৃণমূল বোর্ড গঠন করে। প্রধান হন সুলতানা রাজিয়া এবং উপপ্রধান হন মঙ্গল মুর্মু। তাঁদের নেতৃত্বে পাঁচ বছর ধরে বোর্ড চলছে। ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ২১ মাইল রোড এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতটি রয়েছে। দেওতলা স্ট্যান্ড, ধাওয়েল, কলিপুকুর, তালপুকুরের বেহাল রাস্তাগুলি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও টোটো চালকরা ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবলি খাতুন বলেন, ড্রেন আবর্জনায় ভরা। পরিষ্কার করা হয় না। বৃষ্টি হলে নালার জল উপচে বাড়িতে চলে আসে। বর্ষায় খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়। বহুবার পঞ্চায়েতে বলেছি, নালাগুলি পরিষ্কার করে করা হোক। কিন্ত কোনও লাভ হয়নি।
আরএক বাসিন্দা ভারত সাহা বলেন, উন্নয়ন হয়েছে। জলের সমস্যা তেমন নেই। সাবমার্সিবল থেকে জল পাই। কিন্তু ধাওয়েল সহ বহু গ্রামের রাস্তার কাজ বাকি রয়েছে। মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। সেগুলির দিকে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুলতানা রাজিয়ার কথায়, কিছু গ্রামে রাস্তা তৈরি বাকি রয়েছে। ১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তাগুলি করার পরিকল্পনা নেওয়া ছিল। কিন্তু বরাদ্দ না আসায় কাজ হয়নি। আগামী দিনে এনিয়ে চেষ্টা করা হবে। আমরা পঞ্চায়েতের উদ্যোগে গ্রামে ছোট ছোট রাস্তা নির্মাণ করেছি। একাধিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। নতুন নালা তৈরি হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।