মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
গ্রামবাসীরা বলেন, যে ছ’টি বাড়িতে সিঁধ কাটা হয়েছিল, প্রত্যেকটি বাড়িতে এক বছর থেকে শুরু করে ছ’বছর বয়সের শিশু রয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে যে ঘরে শিশুরা ঘুমিয়েছিল, সেই ঘরের সিঁধ কাটা হয়েছে। বুধবার সকালে সিঁধ কাটার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকায় আসে ঘোকসাডাঙা থানার পুলিস। তারা তদন্তে নামে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে পঞ্চাননপল্লিতে ভূপেন বর্মন, প্রদীপ বর্মন, বাসুদেব বর্মন, প্রসেনজিৎ বর্মন, নিরঞ্জন বর্মন ও শান্ত বর্মনদের শোওয়ার ঘরে সিঁধ কাটে চোর।
নিরঞ্জন ভিনরাজ্যে থাকেন। তাঁর দেড় বছরের ছেলেকে নিয়ে ঘরে একাই থাকেন স্ত্রী। নিরঞ্জনের বাবা মহেশচন্দ্র বর্মন বলেন, রাত আড়াইটে নাগাদ বউমা হঠাৎ চিৎকার করে ওঠে। পরে জানতে পারি, সিঁধ কেটে কেউ ঘরে ঢুকেছিল। নাতিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য মশারির ভিতর কেউ হাত দিতেই বউমা টের পাওয়ায় চোর পালিয়ে যায়। বিষয়টি ঘোকসাডাঙা থানার পুলিসকে জানিয়েছি।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে ঘরগুলিতে সিঁধ কাটা হয়েছে, সেই ঘরে শিশু ছিল। তবে ঘর থেকে কিছু নিয়ে যায়নি চোর। তাহলে কি শিশু তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্যই সিঁধ কাটা হল, তা নিয়েও জোর জল্পনা ছড়িয়েছে। ভূপেন বর্মন, প্রসেনজিৎ বর্মন বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি শিশুচুরি করার জন্যই চোরেরা সিঁধ কেটেছিল। আমাদের প্রত্যেকের যে ঘরগুলিতে সিঁধ কাটা হয়েছে, সেখানে শিশুরা ঘুমিয়েছিল। ঘটনাটি পুলিসকে জানিয়েছি। তারা তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু, এতগুলি বাড়িতে একইসঙ্গে কে বা কারা সিঁধ কাটার সাহস পেল, তা ভেবে আমরা অবাক হচ্ছি। সবার ঘরে চোর ঢুকলেও কারও ঘর থেকে কিছুই নেয়নি। ওরা চোর হলে অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যেত। আমাদের মনে হচ্ছে, শিশুচুরির উদ্দেশ্যেই সিঁধ কাটা হয়েছিল। কুশিয়ারবাড়ির বাসিন্দা তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন বলেন, পঞ্চাননপল্লিতে একই রাতে ছ’টি বাড়িতে সিঁধ কাটার ঘটনা শুনেছি। শিশুচুরির ঘটনা নাকি, অন্যকিছু পুলিস তা খতিয়ে দেখছে। নিশ্চয় ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে। বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হতে বলেছি। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অমিত ভার্মা বলেন, একই পাড়ায় ছ’টি বাড়িতে সিঁধ কাটার ঘটনা হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।