উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ফিলাডেলফিয়ায় পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শহর ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনে। ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদির সাম্প্রতিক রাশিয়া ও ইউক্রেন সফর এবং সম্ভাব্য শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর থেকেই মহাকাশ গবেষণায় ভারত-মার্কিন সহযোগিতা সংক্রান্ত তাৎপর্যপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে। তারই অংশ হিসেবে অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি দিতে চলেছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। পাশাপাশি আমেরিকার কাছ থেকে ৩১টি প্রিডেটর ড্রোন কিনতে বহু কোটি ডলারের চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে এই চুক্তি নিয়ে চলতি সফরের কোনও ঘোষণা হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রীর পরবর্তী কর্মসূচি বার্ষিক কোয়াড শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে মোদি ও বাইডেনের পাশাপাশি থাকবেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। বার্ষিক কোয়াড সম্মেলনে চীনা সামরিক বাহিনীর আগ্রাসন যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে হতে চলেছে, সে ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি।
সফরের দ্বিতীয় দিনে নিউ ইয়র্কে অনাবাসী ভারতীয়দের একটি সমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি আমেরিকার শীর্ষ সংস্থাগুলির সিইওদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
সেখানে এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বায়োটেকনোলজি ও সেমিকন্ডাকটর সংক্রান্ত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। সফরের তৃতীয় দিন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সম্মেলনের থিম হল ‘উন্নততর ভবিষ্যতের জন্য বহুমুখী সমাধান’। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই সম্মেলনের ফাঁকেই বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে মোদির।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই জানিয়ে রেখেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। নভেম্বর মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যস্ততার মধ্যেই তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। যদিও ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির সাক্ষাৎ হচ্ছে কি না, তা নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রধান ইউনুসের সঙ্গে আলোচনার কোনও কর্মসূচি মোদির নেই বলে জানা গিয়েছে।