মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এদিকে লেথপোরা ছাউনিতে ৪০ শহিদের স্মৃতিতে সিআরপিএফ এক বিশেষ সৌধ নির্মাণ করেছে। এদিন ওই সৌধের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া বাহিনীর তরফে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। ৫০ জন জওয়ান সেখানে রক্তদান করেন। এদিন সিআরপিএফের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তা, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস এবং সেনা জওয়ানরা শহিদদের উদ্দেশে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পুলওয়ামার শহিদদের বলিদান বৃথা যায়নি। এদিন এমনই দাবি করে সিআরপিএফের স্পেশাল ডিজি জুলফিকার হাসান বলেন, ‘পুলওয়ামা হামলার পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনী বহু পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলওয়ামার সব হামলাকারীকেই নিকেশ করা হয়েছে। আর যারা ওই হামলায় মদত দিয়েছিল, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত ঠিক দিকেই এগচ্ছে। এই মামলার তদন্তে সিআরপিএফ অনেক বড় সাফল্য পেয়েছে।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘ওই হামলার পর কাশ্মীরে যতগুলি জঙ্গি গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল, তাদের শেষ করা হয়েছে। জঙ্গিরা এখন পিছু হটে গিয়েছে। আমাদের আশা, আগামী দিন আরও শান্তিপূর্ণ হবে।’
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি অবন্তীপোরার কাছে লেথপোরায় জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িকে নিশানা করে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলায় শহিদ হন ৪০ জওয়ান। পরে জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদ ওই হামলার দায় স্বীকার করে। গত পাঁচ বছরে সেটাই ছিল রাজ্যে সবথেকে বড় জঙ্গি হানা। এদিন বিশেষ ডিজি হাসান দাবি করেন যে, তারপর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, হাসানের দাবি হয়তো খুব একটা ভুল নয়। পুলওয়ামার পর সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কয়েকটি অনুপ্রবেশের ছক বানচাল করেছে। ফলে বড় হামলার হাত থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে। তবে জঙ্গি নেটওয়ার্ক কাশ্মীরে পিছু হটেছে বলে হাসান যে দাবি করেছেন, তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। গত ৩১ জানুয়ারি উধমপুর জেলার বান টোল প্লাজায় সশস্ত্র জয়েশ জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল। বড়সড় নাশকতা ঘটানোর ছক কষেই তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল বলেও নিরাপত্তা বাহিনী স্বীকার করেছে। পুলিসি তৎপরতায় তিন জঙ্গিকে নিকেশ করা গেলেও ওই নেটওয়ার্কের আরও কেউ শ্রীনগরে থাকতে পারে বলে পুলিসের সন্দেহ ছিল। এছাড়া গ্রামের বাসিন্দারাই অনুপ্রবেশে মদত দিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। কাজেই পুলওয়ামার পর কাশ্মীরে সম্পূর্ণভাবে জঙ্গি নেটওয়ার্ক নির্মূল হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলেই রয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।