শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্তশত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত সাফল্য।প্রতিকার: ... বিশদ
এদিকে, ভোট ঘোষণা হলে সোনিয়া গান্ধীকে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে লোকসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে কংগ্রেসের। দলীয় সভাপতির পদ থেকে সরে গিয়েছেন রাহুল। দলের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণের কমিটি সিডব্লুসি নতুন করে ফের সোনিয়া গান্ধীকে দায়িত্ব সামলানোর অনুরোধ করে। সেই হিসেবে পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত গত ১০ আগস্ট সোনিয়া গান্ধী অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। সোনিয়া গান্ধী ফের সভানেত্রী হওয়ায় দলের মধ্যে বাড়তে থাকা ক্ষোভ, বিক্ষোভ আপাতত থেমেছে। সকলকে মানিয়ে সংগঠন সাজানোর চেষ্টা করছেন সোনিয়া।
তারই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের নির্বাচন। যেখানে একসময় ক্ষমতায় থাকলেও এখন হাতছাড়া। বিশেষত হরিয়ানার মতো দিল্লির লাগোয়া রাজ্য। কিন্তু সেখানে ক্ষমতায় ফিরে আসার কোনও আশা দেখছে না কংগ্রেস। দলীয় কোন্দল এবং লোকসভার ব্যর্থতাই তার অন্যতম বড় কারণ বলে এআইসিসি সূত্রে খবর। ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় এখন কংগ্রেসের মাত্র ১৭ জন বিধায়ক রয়েছে।
প্রায় একই অবস্থা মহারাষ্ট্রেও। শারদ পাওয়ারের এনসিপির সঙ্গে জোট করেও বিজেপিকে হারানো কঠিন বলেই মনে করছে কংগ্রেস। তারই মধ্যে কমপক্ষে ৪০ টি আসন জিতলেই যথেষ্ট বলে মনে করছে দল। তাই দলের পুরনো নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চৌহান, পৃথ্বিরাজ চৌহানের মতো নেতাদের ভোটে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোনিয়া গান্ধী চাইছেন সঞ্জয় নিরুপম, মিলিন্দ দেওরার মতো প্রাক্তন এমপিরাও বিধানসভায় লড়ুন। কিন্তু তাঁরা রাজি হচ্ছেন না।
ফলে মহারাষ্ট্র নিয়ে কংগ্রেস তেমন আশাবাদী নয়। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্রে এখন কংগ্রেসের ৩৪ জন বিধায়ক রয়েছে। এবার ভোটে কংগ্রেস মোট ১২৫ টি আসনে লড়বে। বাকি এনসিপি, শরিক রাজু শেট্টির দল বাকি আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঠিক হয়েছে। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডেও তথৈবচ অবস্থা। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে বোঝাপড়া করেই ভোটে লড়বে বলে ঠিক করেছে কংগ্রেস। তবে দীপাবলীর আগে ভোট না হলে আপাতত তা নিয়ে আলোচনার জন্য কিছুটা সময় পাবে কংগ্রেস। ৮১ আসন বিশিষ্ট বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ডে এখন কংগ্রেসের মাত্র ৮ জন বিধায়ক রয়েছেন। ফলে লোকসভার বিপর্যয়ের পর আসন্ন রাজ্য বিধানসভার ভোটগুলিতেও কংগ্রেসের ফল কী হয়, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যে সোনিয়া কি পারবেন দলের অবস্থা ফেরাতে? উঠছে প্রশ্ন।