উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
শিক্ষা বাণিজ্য না সেবা, সেই বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এমনিতে শিক্ষাক্ষেত্র জিএসটির আওতায় পড়ে না। সেটা বেসরকারি ক্ষেত্র হলেও নয়। কারণ, শিক্ষাকেন্দ্রগুলি চলে সোসাইটি বা ট্রাস্টের মাধ্যমে। জিএসটি আইন অনুযায়ী সেগুলি ছাড়ের তালিকায় থাকে। তাই কলেজের কর্ণধারদের বক্তব্য, একদিকে এনসিটিই নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন হিসেবে শংসাপত্র চাইছে। আবার, জিএসটি নম্বরও চাইছে। এটা হতে পারে না।
এই ব্যাপারে এনসিটিইর কোনও বক্তব্য সেভাবে না-পাওয়া গেলেও জিএসটির আধিকারিকরা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষাদান ছাড়াও নানা কর্মকাণ্ড থাকে বলেই ধরে নেওয়া হয়। তা ক্যান্টিন চালানো থেকে ইউনিফর্ম বা বই ও স্টেশনারি সামগ্রী বিক্রি, পরিবহণসহ অন্যান্য পরিষেবাও রয়েছে। এগুলি থেকে বাড়তি আয় হয় প্রতিষ্ঠানগুলির। সেই কারণে বার্ষিক ২০ লক্ষ টাকা বা বেশি টার্নওভার থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও জিএসটি নম্বর নিতে হবে।
কলেজগুলির বক্তব্য, তাদের অধিকাংশেরই ক্যান্টিন নেই। বই কলেজ কেনে লাইব্রেরির জন্য। শিক্ষক শিক্ষণ সংক্রান্ত কোনও বইই কলেজগুলি বিক্রি করে না। ইউনিফর্মও নেই অধিকাংশ কলেজে। আর বাস বা গাড়ি গিয়ে পরিবহণ পরিষেবা কোনও কলেজই ভাবতে পারে না। ফলে, অন্তত এরাজ্যের বিএড বা ডিএলএড কলেজগুলির কর্মকাণ্ডই সীমিত থাকে পড়ুয়া ভর্তি, টিউশন ও অ্যাডমিশন ফি আদায় এবং পাঠদানে। তাদের কেন জিএসটি রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে, সেই প্রশ্ন তুলছে তারা। ইউনাইটেড এডুকেশন ফোরামের শীর্ষনেতা তপন বেরা বলেন, ‘সমস্ত কলেজগুলিই এর ফলে সমস্যায় পড়েছে। আমরা এনসিটিইর কাছে এই শর্ত প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখছি।’