পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা। প্রতিকার: একটি ... বিশদ
বিমানবাবু এদিন বলেন, প্রচারে এসে নিরন্তর মিথ্যা ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। মিথ্যা বলার জন্য আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর মতো ওঁকেও ডক্টরেক্ট ডিগ্রি দেওয়া উচিত। উনি এসে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য ডবল ইঞ্জিন সরকারের পক্ষে সওয়াল করছেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, অসম বা ত্রিপুরার মতো ডবল ইঞ্জিনের সরকারের রাজত্বে মানুষের দুরবস্থার দিকে নজর দিলেই বোঝা যাবে ওই রাজ্যগুলির কী দশা। উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার এমন অবনতি হয়েছে যে, সেখানে নারী সুরক্ষা রীতিমতো প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অসমে জনজাতিগুলির করুণ দশা সকলের সামনে এসেছে। ত্রিপুরায় নতুন কর্মসংস্থান দূরের কথা, উল্টে ১০ হাজার স্কুলশিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। এমনকী, কর্মসংস্থানের করুণ ছবি গুজরাত বা হরিয়ানার মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও। তাই বাংলায় বিজেপি ক্ষমতা এলে রাজ্যের মানুষের দশা কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। একই সঙ্গে বর্ষীয়ান বাম নেতা প্রথম দুই দফার ভোটের প্রচারের পরিপ্রেক্ষিতে এবারের নির্বাচনে বিজেপি-তৃণমূল দ্বৈরথের তত্ত্ব মানুষ মানছে না বলে দাবি করেন।
এদিন ফ্রন্টের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তাহার প্রকাশ করেন বিমানবাবু সহ স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোজ ভট্টাচার্য, হাফিজ আলম সাইরানির মতো শীর্ষস্থানীয় বাম নেতারা। এবার দিন কয়েক আগে খসড়া ইস্তাহার সোশ্যাল মিডিয়া ও ওয়েবসাইটে দিয়ে বাম নেতৃত্ব সাধারণ মানুষ এবং সংযুক্ত মোর্চার দুই শরিক কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর মতামত জানতে চায়। দুই জোটসঙ্গী এনিয়ে কিছু না জানালেও কিছু সাধারণ সমর্থক এব্যাপারে তাঁদের মতামত পাঠান। এই সব পরামর্শ মাথায় রেখে এদিন মূল ইস্তাহার প্রকাশ করা হল বলে বিমানবাবু জানান। এবার বামেরা ভোটে জিতলে বিকল্প সরকার গঠন করে যে সব বিষয়ের উপর বিশেষ জোর দেবে, তার মধ্যে কর্মসংস্থান সবচেয়ে প্রাধান্য পেয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশ ফেরানোর বিষয়ে তারা বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করেছে ইস্তাহারে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পৃথক দপ্তর, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৭০০ টাকা, রেগার কাজ বছরে কমপক্ষে ১৫০ দিন করা, সমকাজে সম বেতন, গরিবদের জন্য ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়ার মতো বেশ কিছু চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবার বাম নেতৃত্ব। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, বিদ্যুতের মতো প্রধান বিভাগগুলির ক্ষেত্রেও পরিবর্ধনের কথা বলেছে তারা। ক্ষমতায় এলে এই ধরনের মোট ২৫ দফা কর্মসূচিকে সামনে রেখে তারা সরকার চালানোর অঙ্গীকার করেছে ইস্তাহারে।