কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
ওই সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি জেএমবি সন্দেহে কলকাতা পুলিসের এসটিএফের হাতে ধৃত এক বিচারাধীন বন্দির প্যারোলে মুক্তির ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছে লালবাজার। তেমনই ২০১৫ সালে বড়বাজার থানা এলাকায় একটি খুনের চেষ্টার মামলায় মূল অভিযুক্তকে ছাড়ার বিষয়েরও আপত্তি জানাছে কলকাতা পুলিস। তবে এনিয়ে সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি লালবাজার।
কেন আপত্তি জানাল লালবাজার? কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানিয়েছে, মূলত কুখ্যাতদের ক্ষেত্রে আপত্তি জানানো হয়েছে। কেননা তারা ছাড়া পেলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তাছাড়া, প্যারোলে মুক্তির পর এরা পালিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন করে গ্রেপ্তার করা কঠিন হবে। মূলত এই দুই যুক্তিকে সামনে রেখে আপত্তি জানিয়েছে লালবাজার। তবে ঠিক কতজনের ক্ষেত্রে এরকম আপত্তির কথা জানানো হয়েছে, তা প্রকাশ করতে চায়নি লালবাজার।
তবে লালবাজারের এই যুক্তি নিছকই কথার কথা নয়, এর প্রমাণও আছে। চলতি মাসের ১ এপ্রিল কৃষ্ণনগর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এক বিচারাধীন বন্দি বেহালার বাড়ি ফিরে কলকাতা শহরে পরপর বাইক, মোবাইল এবং ল্যাপটপ মিলিয়ে তিনটি চুরি করেছে বলে অভিযোগ আছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্যারোলে এই বন্দিমুক্তির বিষয়টি তদারকির জন্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের নেতৃত্বে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে জেলা ও রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিসের প্রতিনিধি রয়েছেন। কিন্তু, এই কমিটিতে পুলিসের প্রতিনিধির ঠাঁই হয়নি, যা নিয়ে পুলিস মহল বিরক্ত।