কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যুতের লাইন মেরামত না হওয়ায় এখনও অন্ধকারে ডুবে রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। পানীয় জলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী গত বুধবার বসিরহাটে এসে মৃতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ গিয়েছেন প্রশাসনকে। এমনকী ত্রাণ নিয়ে দলবাজি না করারও কড়া বার্তা দিয়ে যান। কিন্তু, হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও ত্রাণ নিয়ে চরম দলবাজি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনও এলাকা পুনর্গঠনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
জেলা পঞ্চায়েত আধিকারিক তমোঘ্ন ঘোষকে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা পরিষদের ডেপুটি সেক্রেটারি বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে হাসনাবাদ, স্পেশাল এলও রানা কর্মকারকে সন্দেশখালি ১ ও জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আধিকারিক অমিত শেঠকে সন্দেশখালি ২ ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সার্বিকভাবে বসিরহাট মহকুমা এলাকা পুনর্গঠনের কাজ পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) শঙ্করপ্রসাদ কারককে।
ত্রাণ নিয়ে দলবাজির অভিযোগ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দুর্গতদের পাশে থেকে তাঁদের সমস্যা জানার জন্য জেলা পরিষদের তরফেও এক প্রতিনিধিদল গঠন করা হয়েছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামীর নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধিদল হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালি সহ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। সোম ও মঙ্গলবার দুই দিন তাঁরা বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষের বাস্তবিক সমস্যা খতিয়ে দেখবেন। রাতে দুর্গত এলাকায় থেকে হালহকিকতের খোঁজ নেবেন। ওই দলে নারী ও শিশুকল্যাণ কর্মাধ্যক্ষ রেহেনা খাতুন, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ প্রবীর ঘোষ, বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ, কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ বুরহানুল মুকাদ্দিম সহ অন্যরা থাকবেন। এছাড়া জেলা পরিষদের তিন জন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, পিএইচই দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, বিদ্যুৎ বণ্টনের রিজিওনাল ম্যানেজার, সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্য আধিকারিকরা থাকবেন।
নারায়ণ গোস্বামী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ বিলি নিয়ে কোনও রকম রাজনীতি বরদাস্ত করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। সকল মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এলাকা পুনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। সেই কাজে প্রশাসন ইতিমধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্যা দেখতে চাইছি। আধিকারিকরাও সঙ্গে থাকবেন যাতে সমস্যার আশু সমাধান করা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বসিরহাটের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাকে দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।