কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করার প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলে মোদি সরকারের বিরাগভাজন হন এই তরুণ-তুর্কি আমলা। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যে কাজ করলেও এনিয়ে তিনি আইএএস-দের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে খোলামেলা অভিমত জানাতেন বলে তাঁকে দেশের শাসকপক্ষের নেক নজরে পড়তে হয়। তবে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আগেই তিনি প্রতিবাদ জানাতে চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে সরকার কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। আটকে রয়েছে তাঁর অবসরকালীন পাওনাগন্ডাও। এই অবস্থায় অবশ্য কান্নন তাঁর প্রতিবাদের সুর আরও চড়িয়েছেন। দেশের নানা জায়গায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সংগঠনের ডাকে তিনি তাঁর যুক্তি তুলে ধরেছেন। তবে গোড়ায় এনআরসি বা নাগরিকত্ব বিল নিয়ে তিনি সরব ছিলেন না। চেন্নাইয়ে একটি আলোচনাসভায় এক যুবতীর প্রশ্নের মুখে পড়ে তিনি এই ইস্যুটির গুরুত্ব এবং দেশের সাধারণ মানুষের উদ্বেগের বিষয়টি বুঝতে পারেন। এখন তিনি কাশ্মীরের পাশাপাশি এনআরসি ইস্যু নিয়েও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন। শুক্রবার কলকাতায় অল ইন্ডিয়া পিপলস ফোরাম নামে বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের যৌথ মঞ্চের ডাকে এনআরসি ইস্যুতে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় মুখ্য বক্তা হিসেবে হাজির হয়ে তাঁর অভিমত ব্যক্ত করেন।
কান্নন বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের মতো করে এনিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু যাদের জন্য তারা একাজ করছে, সেই আমজনতারও এব্যাপারে কিছু করণীয় আছে। কোনও একটি দল যদি লোকসভার ৫৪৩টি আসনেও জিতে আসে, তাহলেও তাদের সব কাজ বা পদক্ষেপ বিনা প্রতিবাদে মেনে নেওয়া প্রকৃত নাগরিকের ভূমিকা হতে পারে না। ভারতে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে সংবিধান। স্বাধীনতার পর বহু বিতর্কের পর সংবিধানে এই বিষয়টি ঠাঁই পেয়েছে। হঠাৎ রাতারাতি একটি তালিকা তৈরি করে কিছু লোককে বে-নাগরিক করে দেওয়া সংবিধানের পরিপন্থী কাজ। আসলে এই সব পদক্ষেপে দেশের গরিব এবং সংখ্যালঘু মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে। কারণ, গরিবদের কাছে ৫০-৬০ বছরের পুরনো নথি থাকা খুবই দুরূহ বিষয়। পাশাপাশি ভিন দেশ থেকে আসা বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে বাকিদের শরণার্থীর মর্যাদা দিয়ে কেবলমাত্র মুসলিমদের নাগরিকত্ব না দেওয়ার মাধ্যমেও সংবিধানকে অমান্য করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তাই নাগরিকদেরই পাল্টা কৌশল করতে হবে। নানা ধরনের নথি জোগাড়ের দৌড়ে শামিল না হয়ে সবাই বয়কটের মনোভাব নিয়ে বাড়িতে বসে থাকুন। তাতে নিজেদের মধ্যে বিভাজনের বাতাবরণও তৈরি হবে না। অন্যদিকে, দেশের অধিকাংশ মানুষ যদিও নথি জোগাড় না করে তাহলে তাদের তালিকার বাইরে রাখার হিম্মৎ দেখাতে পারবে না সরকার। তখন বিপাকে পড়বে সরকারই। তারা বাধ্য হবে এই সব আজগুবি পদক্ষেপ শিকেয় তুলে রাখতে।