কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
প্রতিদিনই রাজ্য প্রশাসনকে এড়িয়ে নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে যাওয়ায় পরিস্থিতি জটিল আকার নিয়েছে বলে মনে করে রাজ্যের শাসক দল। তাদের অভিযোগ, রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের প্রধানকে এড়িয়ে রাজ্যপাল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকেই অস্বীকার করছেন। সর্বশেষ হেলিকপ্টার বিতর্ক বস্তুত নজিরবিহীন। মালদহ, মুর্শিদাবাদে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে হেলিকপ্টার চেয়ে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল।
এদিন ফরাক্কায় একটি কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে কথা প্রসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ ছিল, উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। নিজের সীমারেখা সম্পর্কে তিনি সচেতন। তাই তা লঙ্ঘন করার লক্ষ্য নিয়ে রাজ্যকে তিনি কোনও চিঠি দেননি। তিনি বলেন, আমি ভুল হলে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলব। এদিন হেলিকপ্টার না পেয়ে রাজ্যপাল সড়কপথেই সকাল পাঁচটায় কলকাতা থেকে রওনা হন। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ফরাক্কায় সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, দরকারে আরও ভোরে যাত্রা শুরু করে এমনকী বাসে বা হেঁটে হাজার কিলোমিটার যেতে হলেও যাব। জাতীয় সড়ক ভালো হলেও রাজ্য সড়ক নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন ধনকার। তাঁর কথায়, হেলিকপ্টার নাও পেতে পারি, তবে যে কারণে তা বাতিল করা হল সেটা দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রীর কিছু বলার থাকলে তাঁকে চিঠি দিয়ে বলতে পারেন। সংবাদমাধ্যমে এসব বলা ঠিক নয়।
রাজ্যপালের বক্তব্যের বিরোধিতায় সরব চন্দ্রিমা মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যকে পরামর্শ দেওয়া তাঁর কাজ নয়। তিনি বলেন, উনি রাজ্যপাল হওয়ার আগে একজন লব্ধপ্রতিষ্ঠ আইনজীবী ছিলেন। সেই হিসেবে মক্কেলদের পরামর্শ দেওয়াটাই তাঁর অভ্যাস ছিল। এখনও সেটা ভুলতে পারছেন না। তাঁর মনে রাখা উচিত, রাজ্যটা তাঁর ক্লায়েন্ট নয়। চন্দ্রিমা এদিন বুঝিয়ে দেন, রাজ্য সরকার মানুষের দ্বারা নির্বাচিত, তাই হেলিকপ্টারের ব্যবহার নিয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের অগ্রাধিকার থাকাটা বাঞ্ছনীয়। মুখ্যমন্ত্রী দুর্গত এলাকায় হেলিকপ্টারে গিয়েছিলেন জনস্বার্থে। চন্দ্রিমার ব্যাখ্যা, রাজ্যপালের হেলিকপ্টারের চাহিদা ছিল তাঁর নিজস্ব কর্মসূচির প্রয়োজনে।
বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধিকার প্রসঙ্গে এদিন কড়া বার্তা দিতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। বর্ধমানে তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার খোঁজ নেওয়ার বিষয়ে আচার্য হিসেবে আমার অগ্রাধিকার রয়েছে। সেই অধিকার বলেই তিনি যাদবপুরের কোর্ট মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান রাজ্যপাল। তবে শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন, রাজ্যপালের এই ভূমিকা রাজনীতিকের মতো। রাজভবনে না থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দিলেই পারেন।