পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
এই সংবাদ কলকাতায় পৌঁছতেই বেজায় ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। নবান্নের খবর, এই সংবাদ শোনা গেলেও কোনও চিঠি এখনও আসেনি। আর রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনেই পদক দেওয়া হয়, তাহলে রাজ্য সরকারের অনুমতি না নিয়ে কী করে তা কেড়ে নেওয়া হবে! সেই সঙ্গে কোনও পুলিস অফিসারই ধর্নামঞ্চে ওঠেননি। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। এটা প্রোটোকল ও সিকিওরিটির বিষয়। ফলে ওই পুলিস অফিসাররা এসে কোনও অন্যায় করেননি। যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কোনও চিঠি পাঠায় তাহলে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য দরবার করবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
যদিও সর্বাগ্রে যাঁর সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে তিনি অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুল ১৯৬৯ লঙ্ঘন করে একটি রাজনৈতিক ধর্নায় গিয়েছেন, সেই পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের নাম এই তালিকায় নেই। সেটা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে রাজীব কুমারের নাম এই তালিকায় রাখা হলে সেটা আদালত অবমাননার মামলায় পর্যবসিত হতে পারে। কারণ রাজীব কুমারের মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিকে আজ এই প্রক্রিয়ার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানালেও কোন প্রক্রিয়ায় এই পদক ফেরত নেওয়া হতে পারে, তার কোনও সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। আইপিএস হলেও এই পাঁচজনই যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত, তাই এই পদক ছিনিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তও রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। কারণ রাষ্ট্রপতির পদক হলেও পদকপ্রাপ্তির যোগ্য মনে করে অফিসারদের নাম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই। সুতরাং কেন্দ্র ওই তালিকা থেকেই নাম স্থির করে। যদি সত্যিই এভাবে পদক ছিনিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে সেটি হবে অত্যন্ত নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা এবং অন্যান্য অপরাধের কারণে নিরাপত্তাবাহিনীর পদক কেড়ে নেওয়ার মতো শাস্তি দেওয়া হলেও এরকম রাজনৈতিক ইস্যুকে সামনে রেখে এত বৃহৎ সিদ্ধান্ত কখনও নেওয়া হয়নি আগে। আর এই পাঁচ পুলিশ অফিসার নিছকই অজুহাত। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে আদতে সরাসরি মমতার সঙ্গে সংঘাতকেই বাড়ানোর বার্তা দিতে চাইবে কেন্দ্র। আগামী সপ্তাহেই দিল্লি আসার কথা মমতার। তিনি যে এসে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আবার নতুন হুঁশিয়ারি দেবেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।