কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
নবান্ন সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী তথা হাওড়া মধ্য বিধানসভার বিধায়ক অরূপ রায়, যুবকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা শিবপুরের বিধায়ক মনোজ তেওয়ারি, হাওড়া উত্তরের বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, বালির বিধায়ক ডাঃ রানা চট্টোপাধ্যায় এবং হাওড়া দক্ষিণের বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরীকে। ওই বৈঠকে রাজ্যের সব পুরসভার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। সেই সূত্রেই থাকবেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্ত্তী। ফলে পুর পরিষেবা সংক্রান্ত আলোচনার পাশাপাশি দুই পুরসভার বকেয়া নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৮ সালে হাওড়া পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। অর্থাৎ, শেষবার পুরভোট হয়েছিল ২০১৩ সালে। বালি পুরসভায় শেষবারের মতো ভোট হয়েছিল ২০১৫ সালে। নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় দুই ক্ষেত্রেই প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় ব্যাপকভাবে ধাক্কা খাচ্ছে পরিষেবা। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে হাওড়ায় বিরোধীদের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার ছিল পুর পরিষেবার বেহাল দশা। শেষমেশ হাওড়া লোকসভায় তৃণমূল জিতলেও আগামী দিনে এই পরিস্থিতির বদল চাইছে রাজ্যের শাসক দলও। এই প্রেক্ষিতে সোমবারের বৈঠকে হাওড়ার বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে বলাটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
২০১৬ সালে বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করে রাজ্য সরকার। হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে হয় ৬৬। ২০২১ সালে রাজ্য ফের বালি পুরসভাকে হাওড়ার থেকে আলাদা করে দেয়। এর ফলে বালি পুরসভার ভোট করানোয় কোনও বাধা না থাকলেও হাওড়া পুরসভার নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। কারণ, হাওড়া ফের ৫০টি ওয়ার্ডের পুরসভায় পরিণত হয়েছে, যেখানে আইনে ৬৬টি ওয়ার্ডের কথা বলা রয়েছে। পরবর্তীকালে এই ৫০টি ওয়ার্ডকে পুনর্বিন্যাস করে ৬৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করা হয়। ফলে হাওড়াতেও নির্বাচন হওয়া নিয়ে আর কোনও জটিলতা নেই বলেই দাবি রাজ্যের এক কর্তার।