কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
২০১৯ থেকে ২০২৪। পাঁচ বছরে অনেকটাই বদলে গিয়েছে বনগাঁ লোকসভায় গেরুয়া রাজনীতির হালচাল। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করে আসা নেতা-কর্মীদের হাত থেকে ব্যাটন কার্যত চলে গিয়েছে শান্তনু ঠাকুরের হাতে। ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের আদি-নব্য বহু নেতা। শান্তনুবাবুর ঘনিষ্ঠ লোকজন ছাড়া আলোকবৃত্তে আসার সুযোগ পাচ্ছেন না কেউ। এঁদের একটা অংশ দলে নিজেদের অস্তিত্ব ও গুরুত্ব বোঝাতে বিভীষণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের সবার এক সুর, ‘অহংকারী’ শান্তনু ঠাকুরের নিয়ন্ত্রণ থেকে দলকে মুক্ত করতে যা করা উচিত, এবার তাঁরা সেটাই করবেন। এক সময় শান্তনুবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন কল্যাণীর বিজেপি নেতা কল্যাণ সরকার। সেই কল্যাণবাবু এবার বনগাঁ কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। ফোনে তিনি বলেন, ‘শান্তনুবাবু পাঁচ বছরে কোন এলাকায় কী কাজ করেছেন বলুন? সাধারণ মানুষ ছেড়ে দিন, ওঁর সঙ্গে দলেরই ৮০ ভাগ কর্মী নেই। দলের নেতা-কর্মীরা ঠাকুরবাড়িতে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকেও ওঁর দেখা পান না। মানুষ এবার এর জবাব দেবে।’ তাঁর আরও দাবি, দলের কর্মীদের জোরাজুরিতেই তিনি নির্দল হিসেবে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
এই অঞ্চলে বিজেপির বিভিন্ন অফিসে ঢুঁ মারতেই অবশ্য ‘এলোমেলো হাওয়া’র ইঙ্গিত মিলল। বনগাঁ শহরে শান্তনুবাবুর ঘনিষ্ঠ এক বিজেপি নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এখানে বিজেপির আদি লোকজন কোথায়? গত বিধানসভা ভোটে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া ৭০ ভাগ নেতাই বাড়িতে বসে আছেন। সবার মুখে শুনছি শিক্ষা দেওয়ার কথা। অনুনয়-বিনয়েও কাজ হচ্ছে না। এখন মোদির মুখই একমাত্র ভরসা।’
বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা অরুণাভ পোদ্দার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির সহ সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিএমএস (ভারতীয় মজদুর সংঘ)-এর জেলা সভাপতি তিনি। ভোটের দুপুরে বাড়িতে কেন? প্রশ্ন শুনে কোনও কথা না বলে একটি বই খুললেন। সেখান থেকে দীনদয়াল উপাধ্যায়ের উক্তি উদ্ধৃত করে বললেন, ‘ভালো দলের হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে একজন খারাপ প্রার্থী আপনার ভোট পাওয়ার দাবি করতে পারেন না। এমন একজনকে টিকিট দিতে গিয়ে দলের হাইকমান্ড পক্ষপাতিত্ব দেখিয়ে থাকতে পারে। ভোটারের দায়িত্ব এই ভুল সংশোধন করা।’ ইঙ্গিতটি স্পষ্ট বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘কয়েক লক্ষ ভোটে জিতবেন শান্তনু ঠাকুর।’