কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
রবিবার দুপুরে হাতিবাগানে কথা হচ্ছিল এখানকার একটি নামকরা বস্ত্রবিপণির কর্মচারী বিধান প্রামাণিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, পুজোর বাজার এবার কেমন যাবে, এখনই বলা মুশকিল। নতুন মাস শুরু হলে, মানুষের পকেটে পয়সা এলে তবেই তো কেনাকাটায় আসবেন। তাঁর আশা, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শনি-রবিবার থেকেই পুরোদমে কেনাকাটা শুরু হয়ে যাবে। তখন বোঝা যাবে, কেমন হতে চলেছে এবারের বাজার। হাতিবাগানের হকার বিশ্বনাথ সমাদ্দার বলেন, এবার বৃষ্টি না হওয়াটা আমাদের ভাবাচ্ছে। যদি ভাবেন, হাতিবাগানে শুধু কলকাতা বা সংলগ্ন শহরের লোকজন কেনাকাটা করতে আসেন, তাহলে ভুল হবে। আমাদের এখানে বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, এমনকী পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেও বহু মানুষ পুজোর বাজার করতে আসেন। এবার তো শুনছি, বৃষ্টি না হওয়ার জন্য ধান চাষের অবস্থা খারাপ। সেই সব ক্রেতারা কত সংখ্যায় এবার এমুখো হবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে।
এদিন দুপুরে হাতিবাগান অনেকটাই ফাঁকা ফাঁকা থাকলেও নিউ মার্কেট ছিল তুলনায় জমজমাট। এখানকার নামকরা জুতোর দোকান তো বেশ কিছুদিন আগে থেকেই পুজোর বিক্রিবাটার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে নেমে পড়েছে। সেখানে এখনই থিকথিক করছে ভিড়। একাধিক শপিং মলেও ভিড় ভালোই। নিউ মার্কেটের বস্ত্র ব্যবসায়ী সাহেবুল ইসলাম বলেন, এই ভিড়ের অনেকটা আসন্ন ঈদের জন্য। ঈদের কেনাকাটা করতে এখানে ফি-বছর প্রচুর মানুষ আসেন। তবে পুজোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে বলেই টের পাচ্ছি। এখনই জামাকাপড় কেনাকাটা শুরু না করলেও জুতো, ব্যাগ, অলঙ্কার ইত্যাদি কেনাকাটা শুরু হয়েছে পুজোকে মাথায় রেখে। আশা করছি, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে জমে যাবে বাজার। শনি-রবিবারগুলি যদি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত না হয়, তাহলে ভালো ব্যবসা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। নিউ মার্কেট চত্বরে কেনাকাটায় মেতেছিলেন কলেজছাত্রী বিদিশা, পাপিয়া, মৃত্তিকারা। তাঁরা এসেছেন নৈহাটি থেকে দল বেঁধে। বিদিশা বলেন, আমরা এখানে অন্য কাজে এসেছিলাম। এলামই যখন, নিউ মার্কেট থেকে পুজোর কিছু কেনাকাটা আগাম করে রাখলাম।