কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
যদিও এই এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলার বিভাস হাজরা বলেছেন, বাম আমলে আমার ওয়ার্ডের ১১০টি কাঁচা রাস্তা ছিল। তার মধ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমরা রেসিডেন্সিয়াল ৯০টি রাস্তা তৈরি করে দিয়েছি। সেগুলি কংক্রিটের হয়েছে। বাকি যেগুলি আছে সেগুলি শিল্পাঞ্চলের। দ্বিতীয় পর্যায়ে তার কাজ হবে। তার জন্য পরিকল্পনা পুরসভায় জমা হয়ে গিয়েছে। এখন বর্ষার জন্য হয়তো কাজ হচ্ছে না। তারপরই কাজ হবে। ইতিমধ্যেই এই এলাকায় বিদ্যুৎ, পানীয় জল সহ অন্যান্য পরিকাঠামোগত কাজ হয়েছে। রাস্তার কাজও হবে। পুরসভার এক কর্তা বলেছেন, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রাস্তার কাজ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু, বর্ষার কারণে তা শুরু করা যাচ্ছে না। বর্ষা শেষ হলেই ওই রাস্তাগুলির কাজ হবে।
স্থানীয় লোকজন বলেছেন, ৫৬ রামকৃষ্ণ মন্দির পথ থেকে ৬৯ বেনারস রোড পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এই এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানা আছে। এই নিয়ে স্থানীয় শিল্পপতিরা বহুবার পুরসভার কাছে দরবার করেছেন। কিন্তু, এই এলাকার রাস্তা তৈরি হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদিত পণ্য বিক্রির জন্য পণ্যবাহী লরি এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু এমন অবস্থা হয়েছে যে, এক পশলা বৃষ্টি হলেই গাড়ি আর ঢুকতে পারে না। কাদায় লরির চাকা বসে যায়। দীর্ঘদিন বলা সত্ত্বেও কেন এই রাস্তাটি তৈরি হল না, তা নিয়ে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত। তাঁদের বক্তব্য, পুরসভা বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছে। সেই জন্যই এই এলাকার রাস্তা তৈরি করা হয়নি। কিন্তু, এর ফলে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরিকাঠামোর অভাবে যদি এই এলাকা থেকে শিল্পপতিরা তাঁদের শিল্প বন্ধ করে চলে যায়, তাহলে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই অবিলম্বে এই রাস্তাটি তৈরির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।