শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
২০১৮ সালের ১১ জুলাই তৎকালীন পুলিস কমিশনার কলকাতা পুলিসের বাছাই করা মহিলাকর্মীদের নিয়ে ‘উইনার্স’ তৈরি করেন। মূলত, শহরে ইভটিজিং, শ্লীলতাহানির মতো অপরাধ রুখতে এই প্রমীলা বাইক বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বাহিনীর সদস্যাদের তড়িৎগতিতে বাইক ছুটিয়ে রোমিওদের গ্রেপ্তার করতে হয়। ফলে ‘নি-গার্ড’, ‘এলবো গার্ড’, ‘গেটাস’(গোড়ালি থেকে হাঁটু পর্যন্ত চামড়ার গার্ড), গ্লাভস, হেলমেট-এর মতো একাধিক সুরক্ষা সরঞ্জাম দরকার হয়। উইনার্স টিম গঠনের সময় প্রথম দফায় সুরক্ষা সরঞ্জাম পেলেও, সরকারি অনুমোদন না থাকায় এই সব সরঞ্জাম এখন আর মিলছে না বলে অভিযোগ।
দীর্ঘদিন ওসি (ক্লথিং) পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকার সুবাদে কলকাতা পুলিসের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্তা বলেন, সুনির্দিষ্ট পোশাক বিধির পাশাপাশি প্রত্যেক পুলিস কর্মীর একটি ‘ক্লথিং বুক’ থাকে। এই বইয়ে উল্লেখ করা থাকে, একজন পুলিস কর্মী তাঁর চাকরি জীবনে উর্দি সহ কী কী সুরক্ষা সরঞ্জাম পেতে পারেন। এক বা দু’বছর কিংবা নির্দিষ্ট সময় অন্তর পুলিস কর্মীরা সেই বিধি মেনে তা পেয়ে থাকেন। সাধারণত, চাকরির ধরন, পোস্টিং এবং ঝুঁকি অনুসারে ঠিক হয় একজন পুলিস কর্মী কী ধরনের সুরক্ষা সরঞ্জাম পাবেন।
সেদিক থেকে বিচার করলে, উইনার্স-এর মতোই বাইকে চেপে যান নিয়ন্ত্রণ করতে হয় কলকাতা ট্রাফিক পুলিসের সার্জেন্টদের। তাই উর্দির পাশাপাশি এই অফিসাররা হেলমেট, গেটাস পেয়ে থাকেন। যা কি না, সার্জেন্টদের পোশাক বিধিতে উল্লেখ করা রয়েছে। কিন্তু তড়িঘড়ি উইনার্স তৈরি করা হলেও, তাঁদের বদলে যাওয়া চাকরির ধরন মেনে পোশাক বিধিতে বদল আনা হয়নি। যার জেরেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন কলকাতা পুলিসের এক আধিকারিক।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে উইনার্স টিমের দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিসের এডিসি অপরাজিতা রাইকে বারবার ফোন করা হলেও, সাড়া মেলেনি। এমনকী মেসেজ পাঠানো হলেও তার উত্তর পাওয়া যায়নি।