শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইট www.wbhealth.gov.in-এ গিয়ে অনলাইনে টিকিট কাটা যাবে। ওয়েবসাইটের ‘ই-গভর্ন্যান্স’-এ গিয়ে ‘ওপিডি টিকিট বুকিং’ অংশে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে মোবাইল নম্বর দিয়ে পরের ধাপে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে এই অনলাইন টিকিট কেটে তার প্রিন্টআউট নিয়ে হাসপাতালে আসতে হবে।
দপ্তর সূত্রের খবর, এই ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় প্রথমে স্থির হয়েছিল, অনলাইনে টিকিট কাটলেও সেই টিকিট সংশ্লিষ্ট টিকিট কাউন্টারে দেখিয়ে বারকোড নথিভুক্ত করতে হবে। তারপর দেখাতে হবে ডাক্তার দেখানোর লাইনে। দু’ টাকার আউটডোর টিকিটের লাইনে আর দাঁড়াতে হবে না। দপ্তরের এক কর্তা জানান, সেই নিয়ম আরও সরল হয়েছে। অনলাইন টিকিটের প্রিন্ট নিয়ে হাসপাতালে গেলে এই ব্যবস্থা চালুর শুরুর সময়ের মতো এখন আর বারকোড নথিভুক্ত করার প্রয়োজন পড়বে না। দু’ টাকার আউটডোর টিকিটের লাইনেও দাঁড়াতে হবে না। সরাসরি ডাক্তারবাবুকে দেখানোর লাইনে দাঁড়ালেই হবে।
অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটার কয়েকটি সুবিধা আছে। প্রথমত, দু’ টাকা লাগছে না। দ্বিতীয়ত, দু’ টাকার আউটডোর টিকিটের লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হবে না। তিন, অনেকটা সময় বাঁচছে রোগী ও বাড়ির লোকজনের। চার, যে দিন ডাক্তার দেখাবেন রোগী, তার চারদিন আগে পর্যন্ত টিকিট কাটা যাবে।
কিন্তু, এই পরিষেবার কতগুলি বাস্তব সমস্যা নিয়ে এখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এক, রাজ্য বা দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে বাংলার সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার দেখাতে অনলাইনে টিকিট কাটা যেতেই পারে। কিন্তু, সব জায়গায় রোগী বা বাড়ির লোকজন প্রিন্টার পাবেন কী করে? আর টিকিটের প্রিন্টআউট না নিয়ে গেলে তো পুরো কাজটাই জলে যাবে। এক্ষেত্রে কী করছে দপ্তর? দুই, লাইনে দাঁড়িয়ে দু’ টাকা দিয়ে আউটডোর টিকিট যেমন কাটতে হবে না, তেমনই প্রিন্টআউট বের করার খরচ তো বহন করতে হবে রোগীকেই।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দপ্তরের এক কর্তা বলেন, বিষয়টি সত্যি। সব জায়গায় হাতের কাছে প্রিন্টার পাবেন কোথায় রোগীরা? সেজন্য আমরা প্রিন্টআউট কিয়স্ক করব ভবিষ্যতে। ভোট এসে যাওয়ার নির্বাচনী আচরণবিধির জন্য করা যায়নি। ভোটের পর নিশ্চয়ই হবে। ওই কিয়স্কেই ই-টিকিটের নম্বর নিয়ে এলে বিনামূল্যে প্রিন্টআউট পেয়ে যাবেন রোগীরা।