কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
এরপরই এই সপ্তাহে কলকাতা সহ রাজ্যের খুচরো এবং পাইকারি ওষুধের বাজারে সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য বা এমআরপি লেখা মাস্ক আসতে চলেছে বলে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল ও বেঙ্গল কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিসিডিএ) সূত্রে জানা গিয়েছে। ওষুধের দোকানদারদের এই সর্ববৃহৎ সংগঠন শীঘ্রই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের কিছু জায়গায় মানুষকে বিনামূল্যে মাস্ক দেবে বলেও রবিবার জানান রাজ্য সভাপতি সজল গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্য সম্পাদক শঙ্খ রায়চৌধুরী বলেন, এই সপ্তাহেই বাজারে সর্বোচ্চ খুচরো বিক্রয়মূল্য সহ মাস্ক আসছে। দেখা যাক, কত আসে, চাহিদা তো মারাত্মক! দোকানদারদের আর এক সংগঠন অল ইন্ডিয়া কেমিস্টস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশন-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ সরকার বলেন, এসেনসিয়াল কমোডিটিজ অর্ডারের আওতায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার আসায় এই দুইয়ের দামও কেন্দ্রেরই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। তিন টাকার মাস্ক ২৫-৩০ টাকায়, ৮০-৯০ টাকার এন ৯৫ মাস্ক ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম নির্ধারক কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইজিং অথরিটি কি হাত গুটিয়ে আছে? মাস্ক ও স্যানিটাইজারের গুণাগুণই বা কে বিচার করবে?
আজ থেকে রাজ্যের ওষুধের দোকানগুলিতে স্যানিটাইজার নিয়ে কালোবাজারি হচ্ছে কি না দেখতে মাঠে নামছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলও। প্রসঙ্গত, ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিকস আইনে যেসব স্যানিটাইজারের মধ্যে ‘ক্লোরোহেক্সিডিন গ্লুকোনেট সলিউশন ২ শতাংশ’ আছে, সেগুলি বেচাকেনায় নজরদারি করতে পারে ড্রাগ কন্ট্রোল। এদিকে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের জন্য রাজ্য সরকারও পর্যাপ্ত মাস্ক কিনছে। ৫০ হাজার পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক ও ৫০ হাজার পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট বা পিপিই (করোনা মোকাবিলার বিশেষ পোশাক) কেনার বরাত দিয়েছে সরকার। আগামীকাল, মঙ্গলবার থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্ডার দপ্তরের সেন্ট্রাল রিজার্ভ স্টোরে ঢুকতে আরম্ভ করবে। তবে মানুষকে সুলভে মাস্ক দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলা এখনও নেয়নি বলে জানান স্বাস্থ্য দপ্তরের এক শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা।
করোনা মোকাবিলায় তৈরি রাজ্যের টাস্ক ফোর্স-এর সদস্য অধ্যাপক ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল বলেন, যেসব মানুষ করোনা আক্রান্ত বা করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন, যাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক এবং যাঁদের হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট রয়েছে, তাঁদেরই মাস্ক দরকার। আতঙ্কিত হয়ে বাকিদের মাস্ক কেনা ও ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।