সংবাদদাতা, সিউড়ি: সিউড়ির কড়িধ্যা কালীপুর থেকে জীবধরপুর পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। প্রতিদিন এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই পিচ রাস্তাটি চলাচলের পক্ষে অযোগ্য হয়ে উঠেছে। অথচ রাস্তা মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেই মল্লিকপুর পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ির কড়িধ্যার কাছে জাতীয় সড়ক থেকে এই রাস্তাটি শুরু হয়ে জীবধরপুর হয়ে একদিকে গোবিন্দপুর, অন্যদিকে কচুজোর হয়ে চিনপাই যাওয়ার জন্য জাতীয় সড়কের অন্যতম একটি বাইপাস রাস্তা। প্রতিদিন চিনপাই, কচুজোর থেকে গোবিন্দপুর, চাকদহ, জীবধরপুর, আম্রপালন সহ একাধিক গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। এই রাস্তা দিয়ে মূলত বাইক, সাইকেল, চার চাকার ছোট গাড়ি যাতায়াত করে। অতিরিক্ত পণ্যবাহী গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে না বললেই চলে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি সংস্কার না করার কারণে রাস্তাটির বেশির ভাগ অংশ খানাখন্দে ভরে উঠেছে। বৃষ্টি হলে এই রাস্তাটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এই রাস্তা সিউড়ি থেকে দুবরাজপুর যাতায়াতের পথে স্থানীয় মানুষ জাতীয় সড়কের বাইপাস রাস্তা হিসাবেও ব্যবহার করেন। কারণ জাতীয় সড়কে যানজট থাকলে ছোট গাড়িগুলি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে। মিনিস্টিলের কাছে জাতীয় সড়কে ওঠার আগে এই রাস্তাটি বড় বড় গর্তে ভরে উঠেছে। ফলে রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। এছাড়াও রাতের অন্ধকারে রাস্তাটি শুনশান হয়ে পড়ায় রাস্তাটিতে পথবাতি লাগানোর দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সুমন্ত দাস বলেন, এই রাস্তাটি অনেক দিন আগে করা হয়েছিল। তারপর থেকে এর মেরামত করা হয়নি। গোটা রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে ওঠায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। এই এলাকার প্রচুর স্কুল পড়ুয়া প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করে। বর্ষার সময় তাদের দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যায়।
এই প্রসঙ্গে সিউড়ি-১ ব্লকের এক আধিকারিক বলেন, ভোটের কারণে অনেক কাজ বন্ধ ছিল। এবার নিশ্চয় এই রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।