সংবাদদাতা, বহরমপুর: কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ শোধ করতে না পারায় পাওনাদারদের চাপে মানসিক অবসাদে এক যুবক আত্মঘাতী হলেন। মৃতের নাম রঞ্জিত ঘোষ(৩৭)। বাড়ি শক্তিপুর বাজারে। শনিবার দুপুরে মাঠে গিয়ে কীটনাশক খান তিনি। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে রাতে মৃত্যু হয়। তবে তাঁর মৃত্যু নিয়ে থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি বলে জানিয়েছে শক্তিপুর থানার পুলিস।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জিতবাবুর গাড়ির ব্যবসা ছিল। পাঁচটি গাড়ি কিনতে প্রায় চার লক্ষ টাকার ঋণে জড়িয়েছিলেন। গাড়ির ব্যবসা ভালো না চলায় ঋণও বাড়ছিল। পাওনাদাররা রোজ বাড়িতে এসে তাগাদা দিচ্ছিলেন। শনিবার দুপুরে মাঠে গিয়ে কীটনাশক খান। আশপাশের চাষিরা তা দেখতে পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে আনেন। সেখান থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। মৃতের ভাই সঞ্জিৎ ঘোষ বলেন, রোজ পাওনাদাররা বাড়িতে এসে দাদাকে অপমান করছিল। সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছে।
কান্দিতে বধূ আত্মঘাতী: স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে সামনে কীটনাশক রেখে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামী কাজে বের হতেই সেই কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হলেন বধূ। মৃতার নাম কুসুমকলি বিবি(২০)। বাড়ি কান্দি থানার সালেপুরে। 
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রান্না হতে দেরি হওয়ায় শনিবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। স্বামী ইসমাইল শেখ স্ত্রীকে মারধর করে বলেও অভিযোগ। এরপর স্ত্রীর সামনে কীটনাশক রেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ইসমাইল। তারপরই কীটনাশক খান কুসুমকলি। তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়। মৃতার আত্মীয় কেরাবানু বিবি বলেন, রোজ অত্যাচার করত। শনিবার জামাই নিজে বিষ এনে দিয়ে খেতে বলেছিল। তারপরই ও বিষ খায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি।