কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন ওল্ড দীঘার জগন্নাথ ঘাটের কাছে স্নানে নেমে তলিয়ে মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এক কিশোরের। ১৬ জুন মন্দারমণির সমুদ্রে বিহারের মুজফ্ফরপুরের বাসিন্দা মণীশ কুমারের (৩০) মৃত্যু হয়। ওইদিনই দীঘায় কলকাতার বাসিন্দা এক পর্যটককে তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে উদ্ধার করেন নুলিয়ারা। শুক্রবার মন্দারমণিতে সমুদ্রস্নানে নেমে তলিয়ে যেতে থাকা ঝাড়খণ্ডের দুই যুবককে কোনওমতে উদ্ধার করেন নুলিয়ারা। এর আগে গত ২৫ মে মেরিনা ঘাটে ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা বেদপ্রকাশ সাহু (২৩) নামে এক যুবক তলিয়ে মারা যান। মূলত প্রতিবছর জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর যথেষ্ট উত্তাল থাকে। নিম্নচাপ এবং কোটালের জেরে সমুদ্র ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। এই সময় দুর্ঘটনা ঘটে বেশি। পর্যটকরা সমুদ্রস্নানে নেমে যে কোনও সময় বিপদের মুখে পড়তে পারেন। কিন্তু পর্যটকদের একাংশ কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে স্নান করতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন। অনেক সময় মদ্যপ অবস্থায় স্নানে নামা দুর্ঘটনা ডেকে আনে। দীঘা থানার ওসি অভিজিৎ পাত্র ও দীঘা কোস্টাল থানার ওসি শাহেনশা হক বলেন, সমুদ্র সৈকত জুড়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। সি-হক ঘোলা ঘাট, ক্ষণিকা ঘাট, পুলিস হলিডে হোম ঘাট, মেরিনা ঘাট সহ যেসব ঘাটে ভিড় বেশি হয়, সেখানে প্রচারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে যাঁরা সমুদ্রস্নানে নামছেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এর ফলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে এড়ানো যাবে। পাশাপাশি নজরদারিও বাড়ানো হচ্ছে। নুলিয়াদের আরও সতর্ক থাকার কথা বলা হচ্ছে।