কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
সংবাদদাতা, ঘাটাল: ওটিপি জেনে বৃদ্ধের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় চার লক্ষ টাকা গায়েব করল প্রতারকরা। শেষ বয়সের জন্য সঞ্চিত টাকা এভাবে খোয়া যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন ক্ষীরপাই শহরের ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন রায়। তিনি চন্দ্রকোণা থানার ক্ষীরপাই ফাঁড়ি ও মেদিনীপুর জেলা সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানিয়েছেন। চিত্তরঞ্জনবাবু বলেন, টাকা না ফেরত পেলে খুবই সমস্যায় পড়ব। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।বছর সত্তরের বৃদ্ধ চিত্তরঞ্জনবাবুর আদি বাড়ি ঘাটাল থানার নতুক গ্রামে। চাষাবাদই তাঁর পেশা। তিনি মাঝেমধ্যে ক্ষীরপাই শহরে ছেলের কাছে থাকেন। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ঘাটালের রাধানগর শাখায় তাঁর একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অ্যাকাউন্টে ৩ লক্ষ ৭৫হাজার টাকা ছিল। তারমধ্যে কিষান ক্রেডিট কার্ডের লোনের টাকাও ছিল। গত ১৩ জুন রান্নার গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরের নাম করে ফোন করা হয়। বৃদ্ধকে জানানো হয়, করোনার সময় তাঁর নামে কিছু টাকা গ্যাস সংস্থার অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে। তিনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, আধার ও প্যান নম্বর জানালে সেই টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। ওই বৃদ্ধ সরল বিশ্বাসে সেইসব তথ্য তাদেরকে দিয়ে দেন। তারপরই চিত্তরঞ্জনবাবুর ফোনে একটি ওটিপি আসে। ফোনের অপর প্রান্তের প্রতারককে সেই ওটিপিটিও বৃদ্ধ জানিয়ে দেন। তারপরই প্রতারকরা নতুন একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে সেটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করতে বলে। বৃদ্ধ তাদের কথামতো নিজেই ব্যাঙ্কে গিয়ে তাদের মোবাইল নম্বরটি নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করতে আবেদন জানান। প্রতারিত বৃদ্ধের ছেলে কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, বাবা একবারের জন্যও এসব জানায়নি। বাবা ব্যাঙ্কে গিয়ে তাদের মোবাইল নম্বর জুড়ে দেওয়ার পর যা হওয়ার তাই হয়েছে। ১৪জুন থেকে ১৭ দফায় মোট তিন লক্ষ ৭৫হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্টে আর মাত্র ৬২ টাকা রয়েছে। বিষয়টি জানার পর ফাঁড়ি ও পুলিসের সাইবার ক্রাইম সেলে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। পশ্চিম মেদিনীপুর সাইবার ক্রাইম সেলের এক পুলিস আধিকারিক বলেন, বৃদ্ধের সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে তিনি একটি অজানা নম্বর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। এর ফলে সাইবার অপরাধীদের টাকা হাতাতে কোনও সমস্যা হয়নি। কারণ পরবর্তীকালে তাদের নিজেদের ফোনেই ওটিপি গিয়েছে। তারা ইচ্ছেমতো বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, কোন কোন অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
