কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
আরামবাগ মহকুমা আদালতের পিপি বিকাশ রায় বলেন, ডিস্ট্রিক্ট জজ এসে অভিযোগের তদন্ত করে গিয়েছেন। তদন্তের রিপোর্ট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।
আরামবাগ বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে গত মার্চ মাসে সাধারণ সভার বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে আদালতের সিনিয়র ডিভিশনের বিচারকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জরুরি বৈঠক হয়। আলোচনার প্রস্তাবিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আইন মহলে ইতিমধ্যেই যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, লোয়ার কোর্টের নির্দেশের অ্যাপিল সিনিয়র ডিভিশনে গেলে আইন মেনে তা শোনা হচ্ছে না। ইনজাকশন হলে একমাসের মধ্যে শুনানি করার নিয়ম, তা মানা হচ্ছে না। তার জেরেই বার অ্যাসোসিয়েশন কর্মবিরতি করছে। যে কারণে গত চারমাস ধরে আদালতে অচলাবস্থা তৈরি হয়ে রয়েছে। বিচারপ্রার্থীদের দিনের পর দিন আদালত থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে।
বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের বক্তব্য, বিচারপ্রার্থীরা আদালতে এসে সমস্যার মধ্যে পড়লেও নিরুপায় হয়ে তাদের বয়কট চালাতে হচ্ছে। বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ ফারুক রশিদ বলেন, আরামবাগ মহকুমা আদালতের সিনিয়র ডিভিশনের বিচারকের বিরুদ্ধে ১৪ দফা অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। বার অ্যাসোসিয়েশনের ১২০ জন আইনজীবী ছাড়াও যাঁরা সদস্য নন তাঁরাও এই বয়কটে শামিল হয়েছেন। আমরা আশাবাদী কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো অভিযোগ যথাযথভাবে দেখা হবে।
বার অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রাকেশ মুখোপাধ্যায় বলেন, সিনিয়র ডিভিশন আদালতে অচলাবস্থা নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। আমরা চাইছি অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়গুলি তদন্ত করে দেখা হোক।