কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
তমলুক শহর লাগোয়া নিশ্চিন্তবসান, নকিবসান, পিপুলবেড়িয়া, চাপবসান, গৌরাঙ্গপুর, ভুবনেশ্বরপুর, ভাণ্ডারবেড়িয়া, চকশ্রীকৃষ্ণপুর, উত্তর সোনামুই, কুলবেড়িয়া, নমতৌড়ি, গণপতিনগর, উত্তর নারকেলদা প্রভৃতি মৌজা অবস্থিত। ওইসব এলাকায় চাষযোগ্য জমি নেই। জনবসতিও অত্যন্ত ঘন। ১৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ওই ১৯টি মৌজায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। হলদিয়া-কোলাঘাট ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ককে বর্ডার লাইন ধরে তমলুক পুরসভার এলাকা সম্প্রসারণ হোক, এমনটাই চাইছেন সেখনাকার বাসিন্দারাও।
তমলুক শহর লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ করে পুরসভা। প্রস্তাবিত এই এলাকার মধ্যে অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে গ্রামীণ এলাকার বেশকিছু বাসিন্দাও পুর পরিষেবা পান। তাই পুরসভা ১৯টি মৌজা নিয়ে শহরের পরিধি আরও বাড়াতে চাইছে। এলাকার সম্প্রসারণ হলে এবং জনসংখ্যা বাড়লে উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দও অনেক বেশি হবে। তাছাড়া, জেলা প্রশাসনিক ভবন সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একচেটিয়া সরকারি অফিস এখন নিমতৌড়িতে স্থানান্তরিত হয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসনিক ভবন পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হলে সুবিধা হবে।
এই মুহূর্তে তমলুক পুরসভার ওয়ার্ড ২০টি। জনসংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। পুর এলাকার সম্প্রসারণ হলে ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে ২৫ থেকে ৩০টি হতে পারে। শহর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হলে ওইসব এলাকার বসবাসকারীদের সুবিধা হবে। এনিয়ে শহর লাগোয়া পিপুলবেড়িয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিশিকান্ত মেট্যা বলেন, শহর ঘেঁষা তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯টি মৌজাকে পুরসভার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি দীর্ঘদিনের। শহর লাগোয়া এলাকায় জনসংখ্যা এবং বসতি বাড়ছে। তাই শহরের পরিধি বাড়ানো উচিত।
তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে তমলুক শহরের এলাকা সম্প্রসারণের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ১৯টি মৌজাকে পুরসভার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছি। নিমতৌড়ি পর্যন্ত পুরসভার পরিধি বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিনের। আমরাও সেইমতো রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি। আশাকরি, আগামী দিনে শহরের পরিধি বাড়বে। তাতে তমলুক শহরের সামগ্রিক উন্নয়নে আরও সুবিধা হবে।