কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ওই দুই মহিলা গোবরা গ্রামে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সাহায্য ভিক্ষা করছিল। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মমতাজ বিবির বাড়িতে যায়। বাড়িতে ঢুকে লোকজন দেখতে না পেয়ে ঘরে ঢুকে আলমারি থেকে সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। ওই সময় রান্নাঘরে ছিলেন মমতাজ বিবি। অপরিচিত দুই মহিলাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে চিৎকার শুরু করেন তিনি। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং বাড়ি থেকে প্রায় ২০ মিটার দূরে দুই মহিলাকে ধরে ফেলেন। অভিযুক্ত এক মহিলা বলেন, ঘরে কেউ নেই দেখে লোভ সামলাতে পারিনি। আলমারি খুলে সোনা ও রুপোর গয়না নিয়েছিলাম। মমতাজ বিবি বলেন, রান্না ঘরে ছিলাম। বাড়িতে আর কেউ ছিল না। কখন ওই দুই মহিলা ঘরে ঢুকেছিল বুঝতে পারিনি। বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি নজরে আসে। চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকতে শুরু করি। এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এইভাবে চুরির ঘটনার খবর সামনে আসছে। গত সোমবার, কুরবানির সকালে সামসেরগঞ্জের শেরপুরে বাড়িতে ঢুকে চুরির চেষ্টার অভিযোগে পুলিস দুই মহিলাকে আটক করে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। অপরিচিত কাউকে দেখলেই সন্দেহের চোখে দেখছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ভগবানগোলা থানার সাহেবনগরে চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রামবাসীরা এক যুবককে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিস ওই যুবককে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিসের খণ্ডযুদ্ধ হয়। এক আধিকারিক সহ চারজন পুলিস কর্মী জখম হন। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিসের উপর হামলার অভিযোগে ১৩ জন গ্রামবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।