কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বিধায়ক রিয়াত সাহেব বলেন, দমকল কেন্দ্র ও কলেজ স্থাপনের কাজ বেশ কিছুটা এগিয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব। বিধায়ক হিসেবে বাসিন্দাদের দাবি পূরণে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভগবানগোলা-১, ২ ব্লক নিয়ে এই বিধানসভা গঠিত। মোট জনসংখ্যা চার লক্ষাধিক। বিধানসভা এলাকায় মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে ২২-২৩টি স্কুল থাকলেও কোনও কলেজ নেই। ফলে স্কুলের গণ্ডি পেরনোর পর উচ্চশিক্ষার জন্য ছেলেমেয়েদের জিয়াগঞ্জ, লালবাগ বা বহরমপুরে ছুটতে হয়। অপরদিকে দমকল কেন্দ্র না থাকায় এলাকায় অগ্নিকাণ্ড ঘটলে লালবাগ বা বহরমপুর থেকে দমকলের ইঞ্জিন আনতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দমকলের গাড়ি পৌঁছনোর আগেই সব ভস্মীভূত হয়ে যায়।
চর লবণগোলার বাসিন্দা আমজাদ আলি বলেন, এখানকার ছেলেমেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরনোর পর উচ্চশিক্ষার জন্য লালবাগ, জিয়াগঞ্জ বা বহরমপুরে যেতে হয়। বেশিরভাগ পরিবারের ছেলেমেয়ের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা চালানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি নেই। তাই অনেক পরিবারের ছেলেমেয়ে পড়াশোনায় ইতি টানতে বাধ্য হয়। এখানে কলেজ থাকলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সুবিধা হতো।
শিবনগরের মান্নান শেষ বলেন, ভগবানগোলায় একটা দমকল কেন্দ্র অত্যন্ত জরুরি। প্রতি বছর আগুনে বহু ঘরবাড়ি ভস্মীভূত হয়। গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়। কিন্তু আমাদের অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া উপায় থাকে না। দমকল কেন্দ্র থাকলে সীমান্তের গরিব মানুষের এভাবে শেষ হয়ে যেত না।
ভগবানগোলা-রানিতলা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক আজমল হক বলেন, প্রতি বছর বিধানসভা এলাকার বিদ্যালয়গুলি থেকে সাড়ে তিন হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। কিন্তু গ্রাজুয়েটের সংখ্যা মেরেকেটে একশো হয় না। এখানে কলেজ হলে উচ্চশিক্ষার হার বাড়বে। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য দমকল কেন্দ্রের প্রয়োজন। নব নির্বাচিত বিধায়কের কাছে আমাদের আর্জি, দীর্ঘদিনের দুই দাবি পূরণে তিনি যেন সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেন।