কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের কাছে চাঁদমণি এলাকায় এসকে-২১৪ নম্বর গেটে ট্র্যাকে পাতা রয়েছে চেক লাইন। মূল রেল লাইনের সঙ্গেই পাতা চেক লাইন। এটি মূল লাইনের সহযোগী। দু’টি লাইনের মধ্যে ফাঁক সামান্য। কয়েকদিন আগেই সংশ্লিষ্ট চেক লাইনে ফাটল ধরে। তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ট্র্যাক দিয়ে চলাচল করছিল ট্রেন। রবিবার বিকেলে এনিয়ে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা বিপজ্জনক এই লাইনে ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করেন। সোমবার ‘চেক লাইনে ফাটল’ শিরনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় ‘বর্তমান’-এ। তা নিয়েই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের অন্দরে তোলপাড় শুরু হয়। ডিভিশনের পদস্থ কর্তা থেকে ইঞ্জিনিয়ার, আরপিএফ অফিসার সকলেই ঘটনার খোঁজখবর নেন। অবশেষে সেই লাইন মেরামত করা হয়। এদিন দুপুরে সেখানে লোহার রড, রেল, ট্রলি প্রভৃতি সরঞ্জাম নিয়ে আসেন শ্রমিকরা। দুপুর ৩টেয় পর তারা সেখানে লাইন মেরামতির কাজে হাত দেন। বেশ কিছুক্ষণ লেভেল ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ করে সেই লাইন সংস্কার করা হয়। এজন্য মাটিগাড়া ও সিটি সেন্টারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চেক রেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯.৮ মিটার। ফাটল ধরা রেলটি বদল করা হয়েছে। পরিবর্তে সেখানে নতুন রেল পাতা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রেলের ইঞ্জিনিয়ার সহ আধিকারিকরা ছিলেন। রেলের ইঞ্জিনিয়াররা বলেন, এই লেভেল ক্রসিং দিয়ে ডাম্পারের মতো ভারী যানবাহন চলাচল করে। এরজেরেই চেক রেলটিতে ফাটল ধরেছিল। তা বদল করা হয়েছে। তবে এতে বিপদের আশঙ্কা কম রয়েছে। কারণ চেক রেল দিয়ে ট্রেনের চাকা গড়ায় না। ট্রেনের চাকা মেন লাইন দিয়ে চলে। শিলিগুড়ি-বিহারের ঠাকুরগঞ্জ শাখার অধীনে চাঁদমণি লেভেল ক্রসিং। এই লাইন বাগডোগরা হয়ে ঠাকুরগঞ্জে পৌঁছেছে। মালট্রেন ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলে এই রুটে। স্থানীয়রা ‘বর্তমান’-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।