কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে,শুক্রবার সকালে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি শিলিগুড়িতে পৌঁছতে গিয়েছিলেন রঞ্জিত। ফেরার পথে তিনি পানিঘাটা যান। সেখানে আশরামুলকে বাইক নিয়ে আসতে বলেন। রাত ন’টা নাগাদ পশ্চিম বাবুপাড়া হয়ে তাঁরা বাইকে চেপে নকশালবাড়ি থানায় ফিরছিলেন। অভিযোগ, চার্চমোড়ে আসতেই পিছন থেকে একটি বিলাসবহুল গাড়ি তাদের বাইকে ধাক্কা দেয়। দু’জনই ছিটকে পড়েন। ঘাতক গাড়িটি চম্পট দেয়। দু’জনকেই উদ্ধার করে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে দেন। তবে কাছাকাছি হওয়ায় তাদের বাগডোগরার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক রঞ্জিতকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর কনস্টেবল গুরুতর জখম হয়ে চিকিত্সাধীন।
পুলিস সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে কনস্টেবলের চাকরি পান জলপাইগুড়ির রঞ্জিত। বছর দু’য়েক আগে তিনি নকশালবাড়ি থানায় যোগ দেন। পরিবারে মা, স্ত্রী ও ৬ বছরের ছেলে রয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই তারা নকশালবাড়ি চলে আসেন।
শনিবার সকালে থানায় মৃত কনস্টেবল রঞ্জিত বর্মনকে গান স্যালুট দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের পর পাইলট ভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্সে মৃতদেহটি জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। নকশালবাড়ি থানার ওসি অনির্বাণ নায়েক বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। ঘটনাস্থল থেকে সমস্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সাদা রংয়ের ঘাতক গাড়িটির সন্ধান করা হচ্ছে।