আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
শেষ হল ২০২০ সাল। আজ, শুক্রবার থেকে নতুন বছর ২০২১’র সূচনা হবে। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কিছুটা অন্য মুডে কাটিয়েছেন শিলিগুড়িবাসী। এদিন বাসিন্দাদের অনেকেই সেভক কালীমন্দিরে ভিড় করেন। দিনভর সেই মন্দিরে ও করোনেশন সেতুতে ভিড় ছিল। মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর অনেকে বলেন, করোনার বিষ বহন করেছে ২০২০ সাল। এই মহামারীর বর্ষে সকলেরই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই নতুন বছর করোনামুক্ত করার প্রার্থনা মন্দিরে জানানো হয়েছে।
এর বাইরে বেঙ্গল সাফারি পার্ক, গজলডোবার ভোরের আলো সহ দার্জিলিং পাহাড়ের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে বাসিন্দারা ভিড় করেন। দার্জিলিংয়ে টয় ট্রেনেও পর্যটকদের ভিড় দেখা গিয়েছে। দর্শনীয় স্থান ঘোরার পর তাঁদের অনেকে স্থানীয় হোটেলে খাওয়াদাওয়া করেন। আবার অনেকে বাড়ি থেকে তৈরি খাবার নিয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে গিয়েছিলেন। দিনভর হুল্লোড় করার পর তাঁরা সঙ্গে আনা খাবার খান। এঁদের অধিকাংশই করোনা নিয়ে সতর্ক ছিলেন। তাঁদের মুখে ছিল মাস্ক। সঙ্গে ছিল হ্যান্ড স্যানিটাইজার। তাঁরা বলেন, কোভিড মহামারীর জেরে দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে। তাই বর্ষশেষের দিনটা কিছুটা পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের সঙ্গে অন্যরকমভাবে কাটালাম।
বিকেলের পর শহরের বিভিন্ন বাড়িতে ও ফ্ল্যাটে পিকনিকের আসর বসে। আশপাশের কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা একজোট হয়ে এমন আয়োজন করেন। দিনভর শপিংমলগুলিতে ভিড় ছিল। তাছাড়া, শহরের রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, হোটেল ও বারগুলিও আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হয়। কয়েকটি জায়গায় গানের আসর বসানো হয়। ঠিক রাত ১২টার সময় কেক কেটে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কোভিড মুক্ত নতুন বছরের আর্জি জানিয়ে এই অনুষ্ঠান করা হয়। তবে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার উন্মাদনা ছিল কিছুটা কম। রাতে শহরের হিলকার্ট রোড সহ বিভিন্ন রাস্তায় বাইক বাহিনী থাকলেও তেমন দাপট ছিল না। মোড়ে মোড়ে মোতায়েন ছিল পুলিস। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের অফিসাররা বলেন, নতুন বছরের রাত কিছুটা নির্বিঘ্নেই কেটেছে।