আপনার মনে ধর্মভাব জাগ্রত হবে। কর্মপ্রার্থীরা কর্মের সুযোগ পাবেন। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা হবে। অর্থ নিয়ে ... বিশদ
পয়লা জানুয়ারি শুক্রবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভেটাগুড়িতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করেন সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। অভিযোগ, মিছিল শেষ হওয়ার পরেই তৃণমূলের একদল যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে ভেটাগুড়ি বাজারে বিভিন্ন দোকানের সামনে লাগানো বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ করার জন্য হুমকি দেয়। পরে তারা ভেটাগুড়ি বাস স্টপের কাছে থাকা বিজেপির পার্টি অফিস ভাঙচুর করে। এরপর ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে নিরাপত্তার দাবিতে পথ অবরোধ শুরু করেন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, মিছিল শেষে কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় আটকে মারধর ও পতাকা ছিঁড়ে দিয়েছে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। বিজেপির ২৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি গোপাল চন্দ বলেন, মিছিল শেষ হওয়ার পর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাজারে থাকা আমাদের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে। দোকানগুলি বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা আমাদের পার্টি অফিস ভেঙে দেয়। তৃণমূলের ভেটাগুড়ি ২ নম্বর অঞ্চলের চেয়ারম্যান রহমত আলি বলেন, আমাদের মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পর দলের কর্মীরা টোটোতে বাড়িতে ফিরছিলেন। সেসময় বিজেপির এমপির বাড়ির সামনে আমাদের মহিলা কর্মীদের মারধর করে টোটো থেকে নামিয়ে দেয়। তাদের কাছে থাকা ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেয়। ওই খবর পাওয়ার পরেই আমাদের কিছু কর্মী উত্তেজিত হয়ে বাজারে থাকা বিজেপির পতাকা খুলে দেয়। কোনও দোকান জোর করে আমাদের কেউ বন্ধ করেনি। কারও পার্টি অফিসেও হামলা চালায়নি। তারা নিজেরাই পার্টি অফিস ভেঙে তৃণমূলের নামে কুৎসা রটাচ্ছে।
ভেটাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বলরাম ব্রহ্ম বলেন, এদিন দুপরে হঠাৎ করে তৃণমূলের মিছিল শেষের পর কিছু যুবক এসে বিজেপির পতাকাগুলি খুলে দেয়। দোকান বন্ধ করার হুমকি দেয় তারা। এরপরেই গোটা বাজার বন্ধ হয়ে যায়। মাঝেমধ্যেই এমন ঘটনা ঘটছে। আমাদের দাবি, ব্যবসায়ীদের শান্তিতে ব্যবসা করতে দিতে হবে। ভেটাগুড়িতে কোনও রাজনৈতিক দলের মিটিং মিছিল চলবে না। দিনহাটার এসডিপিও মানবেন্দ্র দাস বলেন, একটা গণ্ডগোল হয়েছে। শনিবার মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতে বৈঠক হবে। সেখানে ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও থাকবেন।