বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের রিসবা খাতুন বলেন, জায়গা খুব ছোট হওয়ায় বাজার চত্বর ঘিঞ্জি হয়ে আছে। অত্যন্ত সংকীর্ণ জায়গায় সবরকম পরিকাঠামো করা সম্ভব হয়নি। জায়গার অভাবে জল নিকাশি নালাও করা যায়নি। তবে বাজার চত্বরের সার্বিক উন্নয়নে গ্রাম পঞ্চায়েত আগামী দিনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদর এলাকায় দৈনিক বাজার দু’টি জায়গায় রয়েছে। একটি হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলের কাছে যা ডেলি মার্কেট নামে পরিচিত। অপরটি থানার সামনে বসে। ডেলি মার্কেটের জায়গা খুব ছোট হওয়ায় ওই বাজার চত্বর ঘিঞ্জি হয়ে আছে। ফলে ভিড় বাড়লে চলাচল করতে ও কেনাকাটা করতে সমস্যা হয়। এলাকার মানুষকে দৈনন্দিন আনাজপাতি কেনাকাটা করতে বাজারে যেতে হয়। কিন্তু বাজারে যাওয়া মানেই দুর্ভোগের মুখে পড়া। বাজারে কোনও জল নিকাশি ব্যবস্থা নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই বাজার চত্বরে জল জমে যায়। জলকাদা ভেঙে বাসিন্দাদের বাজার করতে হয়। স্থায়ী কাঠামোযুক্ত কয়েকটি দোকানপাট আছে। যা দীর্ঘদিন আগে তৈরি করা হয়েছিল। সম্প্রতি কোনও স্থায়ী কাঠামো তৈরি না হওয়ায় ত্রিপল দিয়ে অস্থায়ীভাবে দোকান খোলা হয়। এমন প্রচুর দোকানপাট গজিয়ে ওঠায় বাজার চত্বর একেবারে ঘিঞ্জি হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও স্থানাভাবের জন্য রাস্তার ওপরে দোকান বসে। বাজারে একটিমাত্র শৌচালয় থাকলেও সেটি ভেঙে পড়েছে। নিয়মিত সেটি পরিষ্কার করা হয় না।
দৈনিক বাজারে যাওয়ার রাস্তারও দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা রয়েছে। গোলা মোড় থেকে গোপাল কেডিয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই ভেঙেচুরে আছে। এই রাস্তা অতিক্রম করেই স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনিক বাজারে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তা সংস্কার করার কোনও উদ্যোগ প্রশাসন নেয়নি বলে অভিযোগ উঠছে। এসমস্ত কারণেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সামনে একটি দৈনিক বাজার বসে। এই বাজারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও সরকারি উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। অস্থায়ী ছাউনি দিয়ে দোকানপাট চালান ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টি হলে ত্রিপল দিয়ে কোনওরকম জল আটকানো হয়। একপ্রকার ভিজেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের কেনাবেচা করতে হয়। রাস্তা, জল নিকাশি ব্যবস্থা কিছুই নেই এখানে। সামান্য বৃষ্টিতে বাজার চত্বরে জল জমে যায়। জলকাদা ভেঙেই মানুষকে বাজার করতে হয়। তাই এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই দৈনিক বাজার দু’টির পরিকাঠামো উন্নত করার দাবি করে আসছেন।