বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ইসলামপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী সৌম্যরূপ মণ্ডল বলেন, রাজ্য সরকার পরিকল্পনা ছাড়াই বিভিন্ন প্রকল্প করেছে। লোক দেখিয়ে সেসবের উদ্বোধনও করা হচ্ছে। কিন্তু সেসব অল্প দিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইসলামপুরের কর্মতীর্থ এর বাইরে নয়। আমরা ভোটের প্রচারে বাসিন্দাদের সেসবই বলছি।
সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, সরকারি কোনও প্রকল্প সঠিকভাবে চলছে না। শুধু লোক দেখানোর জন্য নিত্যনতুন নাম দিয়ে প্রকল্প করা হচ্ছে। মানুষ শাসকদলের ওপরে ক্ষুব্ধ। আমরা প্রচারে গিয়ে ভোটারদের সেসবই বলছি।
কংগ্রেসের প্রার্থী মুজাফ্ফর হুসেন বলেন, তৃণমূল সরকারের কর্মতীর্থ, কৃষক বাজার, শিল্পতালুক সবই ডাহা ফেল করেছে। ওসব মানুষের কোনও কাজে আসেনি। আমরা প্রচারে গিয়ে সেসব বলছি। ভোটাররা ওসব বুঝছেন।
তৃণমূল প্রার্থী আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, রাতারাতি সমস্ত উন্নয়ন সম্ভব নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। বিরোধীরা দিনের বেলাতেও চোখে কালো কাপড় দিয়ে থাকে। তাই উন্নয়ন ওদের চোখে পড়ে না।
ইসলামপুর ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র দামোদর আগারওয়াল বলেন, শিল্পতালুকে এখনও কোনও শিল্প চালু হয়নি। ওই স্থানের কিছু জায়গা নিয়ে কর্মতীর্থ করা হয়েছিল। শহর থেকে দূরে হওয়ার কারণে ক্রেতারা ওই জায়গায় যান না।
উত্তর দিনাজপুর জেলা শিল্পকেন্দ্রে সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মতীর্থ সচল রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হস্তশিল্পীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সেখানে প্রশিক্ষণ শিবির করা হয়েছিল। এলাকার মানুষ যাতে ওই ভবনে যায় সেনিয়ে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু শহর থেকে দূরে হওয়ার কারণে ক্রেতারা কর্মতীর্থমুখী হন না। সেখানে বিক্রির জন্য আনা পণ্য অনলাইনে বিক্রির ভাবনা দপ্তর একসময়ে করেছিল। পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের পক্ষ থেকে বাম সরকারের আমলে ২০০৮ সালের মার্চ মাসে ইলুয়াবাড়ি শিল্পতালুকের শিলান্যাস হয়। রাজ্যে পালা বদলের পর ২০১২ সালের আগস্ট মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উদ্বোধন করেন। এরপরেও কোনও উদ্যোগপতি সেখানে যাননি। ২০১৬ সালের শেষে কর্মতীর্থ চালু হয়। শুরুতে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে হস্তশিল্পীদের এনে স্টল দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে কর্মতীর্থের ঝাঁপ পাকাপাকিভাবে বন্ধ হয়ে যায়।