বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
গঙ্গারামপুর ব্লকের নদীপাড়ের বাসিন্দা সন্তোষ বাস্কে বলেন, প্রতিদিনই কানোরের সাঁকো পেরিয়ে বংশীহারিতে কাজে যেতে হয়। গ্রামের ছেলেমেয়েরা বুনিয়াদপুর কলেজে যায়। আমাদের মহকুমার স্তরের সমস্ত অফিস বুনিয়াদপুরে হওয়ায় কমবেশি সকলেই এই পথ ব্যবহার করেন। এখানকার কৃষকেরা বংশীহারির ব্লকের সরাই হাটে তাঁদের উৎপাদিত সব্জি বিক্রির জন্য নিয়ে যান। বর্ষাকালে দুর্ভোগ বাড়ে। এবার ভোটে গ্রামে আসা নেতাকর্মীদের সমস্যাটি জানিয়েছি। তাঁরা এব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। ভোটের ফলের পর সেতু নির্মাণের ব্যাপারে জয়ী জনপ্রতিনিধি উদ্যোগী না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
বংশীহারি ব্লকের চাষি লক্ষ্মণ সোয়াল বলেন, গঙ্গারামপুর ব্লকের নদীর ওপারে আমার কৃষিজমি রয়েছে। সাঁকো না থাকায় ফসল ঘরে আনতে পারি না। মাঠেই ফসল বিক্রি করে দিতে হয়। গঙ্গারামপুরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হওয়ার গ্রামের কেউ অসুস্থ হলে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়েই নিয়ে যেতে হয়। এবার নির্বাচনে আমরা গ্রামবাসীরা সেতুর দাবি প্রার্থীদের জানিয়েছি।
টাঙন নদীর পূর্বদিকে গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজিতপুর, সাদিপুর, কবিরপুর গ্রাম রয়েছে। অন্যদিকে পশ্চিম পাশে বংশীহারি ব্লকের গাঙ্গুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কানোর, বাজে কানোর, করক্ষা, গাঙ্গুরিয়া গ্রাম আছে। উভয়পাড়ের কয়েকশো মানুষ প্রতিদিন বাঁশের ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করেন। বংশীহারি ব্লকের গ্রামবাসীরা টাঙন নদী পেরিয়ে গঙ্গারামপুর শহরে যান। প্রতিদিনই গ্রামবাসীদের প্রশাসনিক কাজে কিংবা স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে গঙ্গারামপুরে যেতে হয়। অপরদিকে গঙ্গারামপুর ব্লকের নদীর উল্টোদিকের গ্রামবাসীদের বংশীহারি ব্লকের সপ্তাহিক হাটে আসতে হয়। ওই ব্লকের কৃষকরা হাটে তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে আসেন। পাকা সেতু না থাকায় অনেকটা ঘুরে পণ্যবাহী ট্রাক্টর কিংবা ছোট গাড়ি নিয়ে আসতে হয়।
গঙ্গারামপুর মহকুমার বংশীহারির ব্লকে কানোরে টাঙন নদীর উপর কংক্রিটের সেতু দাবি দীর্ঘদিন ধরে উঠে আসছে। নদীপাড়ের গ্রামবাসীরা অস্থায়ীভাবে সাঁকো বানিয়ে পারাপার করছেন। বর্ষাকালে টাঙন নদীর জলের স্রোতে ওই সাঁকো ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তখন নৌকা করে পারাপর হতে হয়। নৌকায় পারাপার যথেষ্টই বিপজ্জনক। সন্ধ্যার পর বর্ষায় সহজে এবার ওপার হওয়া যায় না। তখন ঘুরপরে চলতে হয়। রাতে সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তবুও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোর ওপর দিয়েই মানুষ চলাচল করে।