নয়াদিল্লি (পিটিআই): সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি পেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আবগারি দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত তাঁকে জামিন দিলেও জেল থেকে ছাড়া পাননি তিনি। দিল্লি হাইকোর্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র আর্জির ভিত্তিতে গত শুক্রবার জামিনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আম আদমি পার্টি প্রধান। কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দিল না।  বরং, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি এস ভি এন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করা হবে। যদিও বিচারপতি মিশ্র তাঁর পর্যবেক্ষণে হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশকে ‘অস্বাভাবিক’ বলতে ছাড়েননি। কারণ, স্থগিতাদেশের মামলায় সিদ্ধান্ত সাধারণত আটকে রাখা হয় না। তা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিনের দিনই দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যা হয়েছে, তা অস্বাভাবিক। এরইমধ্যে জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটেয় ইডি’র আর্জি সম্পর্কে নির্দেশ দেবে হাইকোর্ট। 
সংশ্লিষ্ট মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট সোমবারের মধ্যে সব পক্ষকে লিখিত বয়ান জমা দিতে বলেছিল। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল ২৬ জুন। কিন্তু তার আগেই সিদ্ধান্ত জানাতে চলেছে হাইকোর্ট। 
এদিন কেজরিওয়ালের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জামিনের আর্জি জানান এবং বলেন হাইকোর্টের জামিনের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ খারিজ করা হোক। কিন্তু, তার বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, ট্রায়াল কোর্টের আদেশ অবৈধ ও ন্যায়ের পরিপন্থী। নিম্ন আদালত সঠিকভাবে পরিস্থিতির বিবেচনা করতে পারেনি। কারণ, আবগারি দুর্নীতি মামলায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। একইভাবে হাইকোর্টকেও এদিন ইডি বলেছে, ট্রায়াল কোর্টের রায় একেবারেই সঠিক নয়। আবাগরি দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপে কেজরিওয়ালের গলা পর্যন্ত জড়িত থাকার তথ্য ট্রায়াল কোর্ট বিবেচনা না করেই তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে।