কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
কয়েক দিন ধরে সিকিমে বৃষ্টি চলছে। এরজেরে কয়েকদিন আগে ধসে বিপর্যস্ত হয় উত্তর সিকিমের মঙ্গন জেলা। সেখানে আটকে পড়েন বহু পর্যটক। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় প্রথমদিকে উদ্ধারকাজ চালাতে পারেনি সিকিম রাজ্য সরকার। আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর গত সোমবার সিকিম সরকার উদ্ধারকাজে নামে। এজন্য তারা মঙ্গনের জেলাশাসক, পুলিস সুপার, বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বিশেষ দল গঠন করা হয়। সংশ্লিষ্ট দলের নেতৃত্বে উদ্ধার কাজ চলে। সিকিম সরকার সূত্রের খবর, এদিন চুংথাং ও মঙ্গন বিভিন্ন এলাকা থেকে আটকে পড়া ১৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। তিনদিনে এনিয়ে ১৪৪৭ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হল। এই তালিকায় বিদেশি এবং বাংলার পর্যটকরা রয়েছেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাঁদের গ্যাংটকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আর কোনও পর্যটক আটকে নেই।
এদিকে, কালিম্পং কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে বৃষ্টির পরিমাণ ৭২ মিলিমিটার। এরজেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের শ্বেতীঝোরা, ভালুখোলা ও লিকুভিরে ধস অব্যাহত। এদিনও সংশ্লিষ্ট দু’টি জায়গায় পাহাড়ের গা থেকে পাথর, মাটি নেমে আসে। এজন্য বেশ কিছুক্ষণ সংশ্লিষ্ট দু’টি এলাকা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি থেকে ধস সরিয়েছে প্রশাসন। এখন সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচল করছে। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় কালিম্পংয়ে সংশ্লিষ্ট জাতীয় সড়কের উপর বড় ধরনের ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা। তিস্তা নদীর জলস্তরও বেশ কিছুটা বেড়েছে। এ অবস্থায় যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল নিয়ে বিধিনিষেধ জারি করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলাশাসক বালাসুহ্মণ্যম টি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, শ্বেতীঝোরা থেকে রংপো পর্যন্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতীয় সড়কের ২৯ মাইল থেকে ভালুখোলা পর্যন্ত ছোট গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।