বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
সেদিনের তাণ্ডবে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। যার পরিমাণ প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে সাঁকরাইল স্টেশনে হওয়া ধ্বংসলীলায় প্রায় ৬৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। উলুবেড়িয়া, চেঙ্গাইল, নলপুর, ফুলেশ্বর ও বাউড়িয়া স্টেশনগুলির ক্ষতির পরিমাণের পরিপ্রেক্ষিতে সাঁকরাইল এই তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে পূর্ব রেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় শিয়ালদহ ডিভিশনে। যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা। মালদহ ডিভিশনে প্রায় সাড়ে ২৪ কোটি ও হাওড়া ডিভিশনে এক কোটি টাকার কিছু বেশি।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাঙ্গামার সম্ভাবনা অনুধাবন করে অতিরিক্ত রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স এবং রেলওয়ে প্রোটেকশন স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল। রাজ্যের জিআরপি ও সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিস সুপারদের সঙ্গে সমন্বয়ও রাখা হয়েছিল। কিন্তু, আধা সামরিক বাহিনী আরপিএফ সরাসরি আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কিন্তু, পূর্ব রেলের রিপোর্টে একই তথ্য উল্লেখ করার পর জানানো হয়েছে, ‘পোলিসিং ইন রেলওয়েজ’ বা রেলে পুলিসি কাজ করার এক্তিয়ার রাজ্যের বিষয়। রেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। যা গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিসের মাধ্যমে হয়। সেখানে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স সহযোগীর ভূমিকা পালন করে। এমনকী ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী রেলসেতু, লাইন ইত্যাদি রক্ষা করাটাও রাজ্য সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব।
পূর্ব রেলের রিপোর্টে আদালতকে জানানো হয়েছে, যারা তাণ্ডবলীলা চালিয়েছিল, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। অবশ্যই রাজ্য পুলিসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। যদিও ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্য পুলিস মাত্র তিনটি কেস দাখিল করেছে। জিআরপি’র দাখিল করা কেসের সংখ্যা ১৯ এবং আরপিএফ সেখানে ৪৭টি মামলা ভারতীয় ফৌজদারি আইন অনুযায়ী দাখিল করেছে।
এদিন রাজ্যের তরফে কোনও রিপোর্ট জমা হয়নি। যদিও ওই ঘটনার জেরে বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পূর্ব শুনানির দিন আদালতকে জানানো হয়েছিল। কোথায়, কত জনকে সেই তাণ্ডবের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই তথ্য রেলের তরফে জমা পড়া দুই রিপোর্টেই নেই।