বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
সূত্রের দাবি, রাজ্য বিজেপির এই সিদ্ধান্তের পিছনে সুক্ষ্ম রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। গত ১৪ মে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটে কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী রাহুল সিনহার সমর্থনে মহামিছিল করেছিলেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। দলের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, ধর্মতলা থেকে সিমলার স্বামীজির বাড়ি পর্যন্ত যাবে এই র্যা লি। মিছিল শেষে স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচি শেষ করবেন অমিত শাহ। কিন্তু মিছিলের মাঝেই তাল কাটে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিধান সরণীর উপর অবস্থিত বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে এই কিংবদন্তীর মুর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠে। এই ঘটনার আগে কলেজ স্ট্রিটের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে অমিত শাহকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ার পাল্টা অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড় হয়ে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় অমিত শাহ স্বামীজির বাড়িতেই যেতে পারেননি। বিবেকানন্দ মোড় থেকে তাঁর গাড়ি সোজা বিমান বন্দরের দিকে ছুটতে শুরু করে। যা নিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের আক্ষেপ আজও রয়ে গিয়েছে। সেই হতাশা কাটাতে এবার প্রধানমন্ত্রীকে স্বামীজির বাড়িতে হাজির করিয়ে ওই অসম্পূর্ণ কর্মসূচি সারতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
যদিও নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে এই মুহূর্তে দেশজুড়ে প্রবল বিজেপি বিরোধিতা চলছে। তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের অসম সফর বাতিল করেছেন। অন্যদিকে, এ রাজ্যে বাম সহ একাধিক সংগঠন আগামী ১১ এবং ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সফর চলাকালীন তাঁকে কালো পতাকা দেখানো সহ একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে। যা শহরের উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত সিমলার ঘিঞ্জি এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানানোর পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিতে পারে বলে মনে করছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য শীর্ষ পুলিস কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তিনটি অনুষ্ঠানস্থলে লোকালয় নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে আমরা অনুমান করছি, কলকাতা বিমান বন্দর থেকে বিশেষ হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী রেস কোর্সে নামবেন। সেখান থেকে সড়ক পথে সোজা রাজভবন। যাত্রাপথের দু’ধার কলকাতা পুলিস কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেবে। একইভাবে মিলেনিয়াম পার্ক, কারেন্সি বিল্ডিং কিংবা নেতাজি ইন্ডোরে লালবাজারের তরফে পৃথক ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু ১২ জানুয়ারি ভোর থেকেই শহরে অসংখ্য স্বামীজির জন্মদিন উপলক্ষে মিছিল, অনুষ্ঠান রয়েছে। যার অনেকগুলি আবার সিমলায় শেষ হবে। স্বভাবতই ওই দিনে প্রধানমন্ত্রীকে বিবেকানন্দের জন্মভিটেতে হাজির করানোর হ্যাপা যথেষ্ট।