Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মিশন ২০২১: নাগরিকত্ব ইস্যু কি বঙ্গ বিজেপির পথের কাঁটা হয়ে উঠছে
মেরুনীল দাশগুপ্ত

হাতে তাস কম ছিল না। পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাস, তিন তালাক, অযোধ্যা রামমন্দির, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা, স্বচ্ছ ভারত, আচ্ছে দিনের সম্ভাবনাময় স্লোগান—এমন আরও কত কী! এক্কেবারে বাছাই সব তাস। গেরুয়া শিবিরের টার্গেট জনতার মন জয়ে এক-একটি মোক্ষম তথা জবরদস্ত তাস। সেই তাস কেবল দেখিয়েই দ্বিতীয় দফায় তিনশো প্লাসের শিরোপা মাথায় নিয়ে ২০১৯ সালে দেশের সিংহাসনে ফিরেছেন বিজেপি সুপ্রিমো নরেন্দ্র মোদিজি এবং দলের ইতিহাসে রেকর্ড গড়ে কায়েম করেছেন পদ্মরাজ। শুধু তাই নয়, একটা সময় ওইসব তাসের চমৎকারী করিশ্মায় ভারত দেশের অধিকাংশ গেরুয়া রঙে রাঙিয়েও গিয়েছিল। সেই গেরুয়া-ভারত সাধারণ জনমানসে দীর্ঘকালের দেশশাসক কংগ্রেস সমেত বাকি দলগুলোর রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাকে সাময়িকভাবে হলেও কেমন যে নিষ্প্রভ করে তুলেছিল। নোটবন্দি জিএসটি জ্বালানি তেল সমেত নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব ইত্যাদি গুরুতর বিষয়গুলো নিয়ে মানুষের মনে বয়ে চলা ক্ষোভ অভিযোগগুলোও যেন উনিশের প্রায় একতরফা নির্বাচনী ফলের পর কেমন দুবলা দুর্বল হয়ে পড়েছিল!
তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণ ছিল পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ফল! একদার বাম রাজ্য এবং বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একচ্ছত্র গড়ে রামভক্তদের প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট নিয়ে ১৮ আসন! ফল প্রকাশের পর অতিবড় রামভক্তও বলে উঠতে পারেননি যে এমনটাই তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন। পারেননি। তবে, ফলাফলের আনন্দসুখে তাঁদের অনেকেরই ছাতিই যে ২৮ থেকে ৫৬ ইঞ্চির দিকে প্রসারিত হয়ে পড়েছিল তা বলাই বাহুল্য। মমতাময় বাংলার সবুজ বুকে গেরুয়া বিজেপির সেই স্বপ্নের উত্থানের পর তাই সঙ্গত কারণেই রাজ্য রাজনীতির বিভিন্ন মহলে ভাবনা দুর্ভাবনার মিশ্র প্রতিক্রিয়ারও অভাব হয়নি। সিপিএমের একটা সুবিধে আছে—রাজ্যে বিজেপি কিছু একটা করলেই তাঁরা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দায় খালাস করে দিতে পারেন। লোকসভা ফল প্রকাশের পরও তার অন্যথা হয়নি। বিজেপির ভালো ফলের দায় মমতার ওপর চাপিয়ে তাঁরা নিজেদের বেকসুর প্রমাণ করতে নেমেছিলেন—মনে করে দেখুন। অথচ, ভোটফলে পরিষ্কার ছিল আসন কিছু কমলেও মমতার তৃণমূলের ভোট বেড়েছে। পক্ষান্তরে, বীতশ্রদ্ধ বাম ভোটাররাই বিজেপির শিবিরে অতিরিক্ত ২২ শতাংশ সরবরাহ করে ১৭-কে ৪০ শতাংশের কাছে টেনে তুলেছে!
তো সে যা-ই হোক, মোদ্দা কথা বিজেপির এই ফলের পর সাধারণ জনতা মধ্যে এই কথাই চাউর হয়েছিল যে, একুশে রাজ্যে আসছে বিজেপি। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি বড় গুণমুগ্ধকেও কণ্ঠ ভরা শঙ্কা নিয়ে এমন ভবিষ্যদ্বাণী করতে শুনেছি। আর এই আবহের সঙ্গে তাল রেখে বঙ্গ রাজনীতির রঙ্গলোকে রাজনৈতিক ডিগবাজির সূচনাও হয়ে গিয়েছিল ভালোই। এবং সেই ডিগবাজিবাজদের চিহ্নিত করে ঘরে তুলতে সেরার সেরা কারিগর হয়ে উঠে এসেছিলেন মমতার প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট মুকুল রায়, তাঁকে বাংলার নতুন চাণক্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতেও কিছুমাত্র বিলম্ব করেনি গেরুয়া শিবির! সেই ‘যাকে পাবি তাকে খা’ গোছের রাজনীতি (যাকে সাধারণভাবে দলভাঙানোর রাজনীতি বলেন আপনারা) শেষপর্যন্ত এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছিল যে বীরভূমের এক অতি বিতর্কিত নেতাকে দলভুক্ত করতে গিয়ে নিজের দলের নেতৃত্বেরই কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হল রায়বাবুকে। শেষপর্যন্ত অবশ্য সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকে আড়ালে ঠেলে দেওয়া হল। এখন তিনি কোথায় কে জানে! ভাটপাড়া নৈহাটি বারাকপুরের শিল্পাঞ্চলে জমি দখল নিয়েও বিরাট কাণ্ড চলল কিছুদিন। সব মিলিয়ে সে এক তাধৈমাধৈ অবস্থা যার মূল সুর বলে চলেছিল—বিজেপি আগত ওই!
আর এই সুর যত চড়ছিল ততই বাংলার সংখ্যালঘু মহলে একটা অস্বস্তির ভাব জাগছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাণপণে সেই অস্বস্তি দূর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু তাতেও পুরোপুরি স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছিল না। কারণ, তখন নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে নতুন সরকার একের পর এক প্রতিশ্রুতি পালন করছেন, ভাঙছে দীর্ঘকালের প্রথা অভ্যাস। তিন তালাক বিল পাশ হল, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হল, কাশ্মীর আর লাদাখ দুটি পৃথক জেলা হল এবং আকারে ইঙ্গিতে বোঝা গেল এবার আসছে নাগরিকতা প্রসঙ্গ—এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করে পাঠানো হবে ক্যাম্পে ইত্যাদি ইত্যাদি। সেইসঙ্গে আকারে ইঙ্গিতে এবং ক্ষেত্রবিশেষে রেল পেট্রোলিয়াম কোম্পানি সমেত বহু বড় শিল্পের বেসরকারিকরণ, ছাঁটাই, কর ব্যবস্থা সংস্কার প্রভৃতি কঠিন কঠিন সব সংস্কার সিদ্ধান্তের রূপায়ণ তো আছেই। ফলে সংখ্যালঘু সমেত বহু সাধারণের মনেই একটা অজানা ভয় দানা বাঁধতে শুরু করল আর অনিবার্যভাবেই স্ব-স্ব অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা অনিশ্চয়তার বাতাবরণও তৈরি হতে লাগল, খোঁজা শুরু হয়ে গেল আত্মরক্ষার উপায় এবং ভরসাদার রাজনৈতিক শক্তি। এটা অবশ্য গোটা দেশেই ঘটল, কেবল বাংলায় নয়।
প্রাথমিকভাবে বিজেপির নবীন অগ্রগামী ভারতের তলে তলে এই বিপরীত প্রতিক্রিয়ার স্রোতকে দেশ রাজ্যের গেরুয়া নেতৃবৃন্দের কেউই বিশেষ পাত্তা দেননি। এমনকী এনআরসির অসমে ১৯ লক্ষ (যার মধ্যে ১২ লক্ষ বাঙালি বলে কথিত) নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিলের পরও নয়! কিন্তু, অসমের ১২ লক্ষ বাঙালির সেই চরম দুর্দশা নিয়ে যেই গর্জে উঠলেন মমতা চটকা ভাঙল যেন! বিজেপি নেতৃত্বের তরফে তখন প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা হল— এটা নাগরিক বিরোধী আইন নয়, নাগরিকত্ব সুরক্ষিত করার আইন। বোঝানো হল, পাকিস্তান আফগানিস্তান বাংলাদেশের মতো মুসলিম রাষ্ট্রে পীড়িত হিন্দু সমেত সংখ্যালঘুদের আশ্রয় দেবার জন্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। কিন্তু দেখা গেল, এইসব কথা সত্য বলে জনতার সিংহভাগ গ্রহণ করছেন না! বরং, তাঁরা গেরুয়া বিরোধীদের কথায় মান্যতা দিচ্ছেন!
বিশেষ করে এই পশ্চিমবঙ্গে যেমন আগে তেমন এই এনআরসি ইস্যুতেও মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই শিরোধার্য করছেন সংখ্যালঘু থেকে সাধারণ সকলেই। কেন? বিশ্বাস, অটুট অনড় বিশ্বাস। সে বিশ্বাস মমতা একদিনে অর্জন করেননি। প্রথমাবধিই জনতা দেখেছে মমতা যে কোনও বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিরোধীদের কটূক্তি ব্যঙ্গ সত্ত্বেও সংখ্যালঘুদের প্রতিও তাঁর সহানুভূতি অনুকম্পা যথারীতি জারি আছে। শুধু তাই নয়, ক্ষমতায় আসার পর মমতা রাজ্যের যেখানে যা উন্নয়ন উন্নতি করেছেন তার ফল সরাসরি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। বড় ও ভারী শিল্প হয়তো তিনি এখনও তেমন আনতে পারেননি, তবে ওই উন্নয়নের জোয়ারে এবং অব্যর্থতায় বাংলার গরিব সাধারণের জীবনযাত্রার মান ও গতিতে যে উন্নতি ঘটিয়েছেন— তা এই বঙ্গের ইতিহাসে অনন্য, মুখে না মানুন মনে মনে মানেন সকলেই। সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম আমলের সূচনায় ভূমি সংস্কার ছাড়া মমতার এই উন্নয়নের তুল্য উদ্যোগের নজির খুব কি আছে যাতে উপকৃত হয়েছেন গরিব প্রান্তিক মানুষ থেকে শহর বস্তির সাধারণজন? বলতে কী এককালে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামেদের প্রতি মানুষের বিশ্বাস যেভাবে দৃঢ়তা পেয়েছিল ঠিক সেভাবেই সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম পর্ব থেকে একটু একটু করে বঙ্গজনতার মমতায় বিশ্বাস শিকড় ছড়াতে ছড়াতে আজ অনড় অটল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বলতে কী, এনআরসি সিএএ নিয়ে বিদ্রোহের পর শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, ভারতের নানা প্রান্তেই আজ মমতায় বিশ্বাসীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। না হলে ভোট সমীক্ষার ফল একতরফাভাবে পক্ষে যাওয়ার পরও দিল্লির শাসক কেজরিওয়াল তাঁকে নির্বাচনী প্রচারে আহ্বান জানান?!
এহেন মমতার রাজ্যে ২০১৯ লোকসভায় চমক দেখানো আর ২০২১ ভোট জয়টা যে এক কথা নয় সেটা বঙ্গবিজেপি খুব ভালোই জানে। তার ওপর ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রের ভোটফল প্রকাশের পর এটুকু বোধহয় ফের বোঝা গেল রাজনীতির জগতে শেষ কথা বলে কিছু নেই, বন্ধু-বিশ্বাস বলেও না! হিন্দুত্ববাদী শিবসেনার মতো বিজেপির স্বাভাবিক শরিকবন্ধু নিছক ক্ষমতার সিংহাসনের টানে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে— ভাবা যায়! আর ঝাড়খণ্ডে তো যাকে বলে ধূলিসাৎ। অথচ, অমিতজি এখনও এনআরসি নিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছেন। জনগণনার জায়গায় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে তৎপরতা দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে জামিয়া মিলিয়া থেকে জেএনইউ— কোথাও তার বিরোধিতায় কোথাও ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে নামা ছাত্রছাত্রীরা পুলিস কি এবিভিপির গেরুয়া গুন্ডাদের আক্রমণে রক্তাক্ত হচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশের মতো নানা জায়গায় নাগরিকত্ব বিক্ষোভে প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটেছে! গোটা দেশ এসব কিছু নিয়ে আজ উত্তাল উত্তপ্ত বজ্রগর্ভ! গতকাল সারা দেশ স্তব্ধ করে একটা প্রতিবাদের ধর্মঘটও হয়ে গেল।
এমতাবস্থায় বঙ্গে বিজেপির ১৮ আসনের সেই উদ্দীপনা যে প্রভূত ধাক্কা খাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। মতুয়া এবং উদ্বাস্তুদের সঙ্গে বাম বিমুখ মমতা বিরোধী ২২ পার্সেন্ট— এই দিয়ে ২০২১-এ বিজেপির শিকে ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখেছিলেন যাঁরা আজ তাঁদের মধ্যেও দোলাচল। নাগরিকত্ব ইস্যু মেরুকরণের ব্যবস্থা করেছে ঠিকই কিন্তু এরপর বাংলার অপেক্ষাকৃত উদারবাদী হিন্দু জনতাকে শেষ অবধি ভোটযুদ্ধে কতটা পাশে পাওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। তাই, ইউপি ইলেকশনে বিপুল জয়ের পর উৎফুল্ল বিজেপি নেতৃত্ব মহাকলরবে যে মিশন বেঙ্গল ২০২১ ঘোষণা করেছিলেন তার ভবিষ্যৎ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন: নাগরিকত্ব ইস্যু মিশন ২০২১-এর পথে বঙ্গবিজেপির সবচেয়ে কঠিন কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে না তো? উত্তর খুঁজছে বঙ্গবিজেপি।
 
09th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর।
বিশদ

11th  January, 2020
নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়। বিশদ

10th  January, 2020
নিত্যযন্ত্রণা এবং সরকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আমাদের এই বাংলায় এক প্রবাদপ্রতিম ভদ্রলোক আছেন। তাঁর নাম গৌরী সেন। মানে টাকার জোগানদার। শুধু হাত পেতে দাঁড়ানোর অপেক্ষা... তিনি তো দেওয়ার জন্য মুখিয়েই আছেন! আমাদের এই পোড়া দেশে গৌরী সেন হল সরকার। তা সে রাজ্যই হোক বা কেন্দ্র। মানে, যে সরকারকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি, সেই সরকার আমাদের ভর্তুকি দেবে। তেলে ভর্তুকি, গ্যাসে ভর্তুকি, চাল-চিনিতে ভর্তুকি...। ইদানীং এই গৌরী সেনের চরিত্র কিছুটা বদলেছে বলে বোধ হচ্ছে।
বিশদ

07th  January, 2020
‘হাজি কাশেম’ খতম, স্বস্তি আইএস জঙ্গিদের
মৃণালকান্তি দাস

২০১৯-র অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়। বাগদাদজুড়ে তখন অস্থিরতার উত্তাল হাওয়া। কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ছিল অবরুদ্ধ। আন্দোলনকারীরা রাস্তা দখল করে মিছিল করছিল দুর্নীতির অবসান আর প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহদির পদত্যাগের দাবিতে।  
বিশদ

07th  January, 2020
গণতন্ত্রে বিরোধীদের কণ্ঠস্বরেরও মূল্য আছে
সন্দীপন বিশ্বাস

পুরনো বছর বিদায় নিয়েছে। এসেছে নতুন বছর, নতুন দশক। বহু সংকটের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বছরে প্রবেশ করলেও নতুন প্রত্যাশায় উদ্ভাসিত মানুষের মন। সেটাই তো হওয়া উচিত। পুরাতন বৎসরে জীর্ণতা ধুয়ে যাক। মুছে যাক অবসাদ। এই প্রত্যাশাতেই উজ্জ্বল হোক নতুন বছর। কিন্তু পরিস্থিতি বলছে, প্রত্যাশা এবং বাস্তবের মধ্যে দূরত্ব অনেকখানি। 
বিশদ

06th  January, 2020
অর্ধেক জনগণের সাধারণতন্ত্র
পি চিদম্বরম

আমরা জনগণ আমাদেরই জন্য ভারতের সংবিধান তৈরি করেছি। ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’-এর নীতিতে গণপরিষদ তৈরি হয়নি এবং এই কারণে এটা জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধি নয়। তবু, চূড়ান্ত প্রাপ্তির ভিত্তিতে এটার বিচার করা হয়েছে, গণপরিষদ ভারতের সমস্ত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিল। 
বিশদ

06th  January, 2020
‘কল্পতরু’ শ্রীরামকৃষ্ণ মাদুলি দিতে শুরু করলে সোনায় মুড়ে যেত গোটা কামারপুকুর
হিমাংশু সিংহ

 সিঁথি-বরানগরে আমার বাস গত পাঁচদশক ধরে। সেই সুবাদে প্রতি বছর পয়লা জানুয়ারি কল্পতরু উৎসবে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে জনপ্লাবন দেখার অভিজ্ঞতা নতুন কিছু নয়। সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। এবছরও ১ জানুয়ারি দুপুরে সিঁথি পেরিয়ে বিটি রোডের পাশ দিয়ে অফিসে আসছিলাম।
বিশদ

05th  January, 2020
জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রপ্রধানদের ভরসা এবার নারীশক্তি 
ছত্রধর দাস

 দৈনন্দিন জীবনযাপনে অনেকক্ষেত্রেই সিদ্ধান্তগ্রহণে মহিলাদের অসম অংশগ্রহণ ও বাজার নিয়ন্ত্রণে তাঁদের নিষ্ক্রিয়তা স্থিতিযোগ্য উন্নয়নের পরিপন্থী। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনে মহিলাদের স্থানীয় জ্ঞান, স্থিতিযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে তাঁদের নেতৃত্বদান, দৈনন্দিন পারিবারিক ও সামাজিক কর্মসম্পাদনে তাঁদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রে মহিলারা বর্তমানে নেতৃত্বদানকারী ভূমিকা সার্থকভাবে পালন করছেন। এমনকী রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ নাগরিকদের কাছে অনেকক্ষেত্রেই অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণ হয়। তাই জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে এবার নারীকেই নিতে হবে মুখ্য দায়িত্ব। বিশদ

04th  January, 2020
জনগণ ফিরে পেয়েছে তার কণ্ঠস্বর
মৃণালকান্তি দাস

ফের বিতর্ক, ফের ধোঁয়াশা! এনআরসিতে এনপিআর তথ্য নিয়ে তালগোল পাকিয়ে দিয়ে বছর শেষ করেছিলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার তথা এনপিআরের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র কোনও সম্পর্ক নেই।  
বিশদ

03rd  January, 2020
ঝাড়খণ্ডের বার্তা
শুভময় মৈত্র

ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গেল বিজেপি। এমনটাই জানা গিয়েছিল বুথ-ফেরত সমীক্ষা থেকেও। নির্বাচনের প্রস্তুতিপর্বে যখন বিজেপি জোট না গড়ে একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিল, তখনই অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ভুরু কুঁচকেছে। 
বিশদ

02nd  January, 2020
ঠাকুর কেন কল্পতরু হয়েছিলেন
হারাধন চৌধুরী

একবার এক সাধু দেশভ্রমণে বেরিয়ে কামারপুকুরে এলেন। অতিথি হলেন চিনু নামে এক ধর্মভীরু ব্যক্তির বাড়িতে। গুছিয়ে বসার পর সাধু তাঁর এক বেআক্কেলে সাধের কথা শোনালেন গৃহস্থকে—মৌরলা মাছ দিয়ে আমের টক খাব।  
বিশদ

01st  January, 2020
একনজরে
 গান্ধীনগর, ১১ জানুয়ারি (পিটিআই): প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা সফর ঘিরে বিক্ষোভে উত্তাল শহরের বিভিন্ন প্রান্ত। তারই মধ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করলেন অমিত শাহ। গুজরাতের মাটি থেকে। ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: পথ দুর্ঘটনায় জখম পটাশপুরের বর্ষীয়ান এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হল। এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তিনি মারা যান। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম সুবোধচন্দ্র মাইতি(৭৫)।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্যেও রাজ্যের শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন দু’টি বণিকসভার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেন তিনি। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের তরফে এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, হর্ষ নেওটিয়া, মায়াঙ্ক ...

 তেহরান, ১১ জানুয়ারি (এএফপি): ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ভেঙে পড়েছিল ইউক্রেনের বিমান। প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৭৬ জন। দুর্ঘটনার পর থেকেই ইরানের হামলার তত্ত্বই উঠে আসছিল। প্রথম থেকেই তা অস্বীকার করছিল তারা। কিন্তু, শনিবার বিবৃতি জারি করে দায় স্বীকার করে নিয়েছে তেহরান। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় যুব দিবস
১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম
১৯৩৪: মাস্টারদা সূর্য সেনের ফাঁসি
১৯৫০: কলকাতায় চালু হল চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৬২ টাকা ৭২.৭৮ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯৫.২৮ টাকা
ইউরো ৭৭.২৫ টাকা ৮০.৯৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
11th  January, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০, ৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮, ৫২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯, ১০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬, ৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭, ০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ পৌষ ১৪২৬, ১২ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩৪/৩৩
রাত্রি ৮/১২। পুষ্যা ১৩/৩৬ দিবা ১১/৫০। সূ উ ৬/২৩/২, অ ৫/৬/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ গতে ৯/১৪
মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৫ গতে ৯/৩২ মধ্যে পুনঃ ১২/১১ গতে ১/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫০ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/২৪
গতে ১/৪ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। 
২৬ পৌষ ১৪২৬, ১২ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩৯/৪৪/২৯ রাত্রি ১০/১৮/৫২। পুষ্যা ১৮/৪৮/৪৯ দিবা ১/৫৬/৩৬। সূ উ ৬/২৫/৪, অ ৫/৫/৫৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৯/১৩ মধ্যে ও ১২/৩ গতে ২/৫৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪২
গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৯ গতে ১/৫৫ মধ্যে ও ২/৪৯ গতে ৬/২৫ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৫/২৯ গতে ১/৫/৩৬ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৫/২৩ গতে ৩/৫/১৭ মধ্যে । 
মোসলেম: ১৬ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। বৃষ: বিবাহের সম্ভাবনা আছে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে  
জাতীয় যুব দিবস১৮৬৩: স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম১৯৩৪: 'মাস্টারদা' সূর্য সেনের ফাঁসি১৯৫০: ...বিশদ

07:03:20 PM

ভদ্রেশ্বরে টোটোচালকের মানিব্যাগ ফেরাল ৫ম শ্রেণীর ছাত্র 
আজ দুপুরে ভদ্রেশ্বরের রাস্তায় একটি মানিব্যাগ কুড়িয়ে পায় ৫ম শ্রেণীর ...বিশদ

09:57:00 PM

কোচবিহারে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু ছাত্রের 
রহস্যজনকভাবে কোচবিহারের এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:37:02 PM

বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেলেন সমিতকুমার দাস

04:56:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের ত্রালে পুলিসের গুলিতে হত ৩ জঙ্গি, উদ্ধার অস্ত্রশস্ত্র 

04:12:42 PM