বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফরের দিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেও প্রধানমন্ত্রীর কলকাতায় আসা নিয়ে নানা মতামত উঠে এসেছে। হেদুয়া মোড়ের কাছে ভুটিয়াদের শীতবস্ত্রের স্টলে দাঁড়িয়ে থাকা এক অবাঙালি বলে উঠলেন, যো হো রহা হ্যায়, ঠিক নেহি হো রহা হ্যায়। আরও তীব্র ক্ষোভের প্রতিক্রিয়া মিলল কলেজ স্ট্রিট চত্বরে। এক চা বিক্রেতা স্পষ্টভাবে জানালেন, প্রধানমন্ত্রী সবই জানেন। কিন্তু কিছু বলছেন না। তাঁকে নিয়ে এত অসন্তোষ তো আর এমনি এমনি হচ্ছে না। তিনি এখানে না এলেই বরং ভালো হতো। আবার এক বই ব্যবসায়ীর কথায়, দেশে এখন খুবই কঠিন পরিস্থিতি চলছে। সবাই প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে আছেন। কিন্তু তিনি নির্বিকার।
শহরজুড়ে বিক্ষোভের জেরে এদিন ট্রাফিক ব্যবস্থা এক প্রকার মুখ থুবড়ে পড়ে। ধর্মতলা, রবীন্দ্র সদন চত্বরে বাস-ট্যাক্সি চলাচল ব্যাহত হয়। সেই পরিস্থিতিতেই ধর্মতলা থেকে বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক মহিলা। কোনও কিছু না পেয়ে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন। এঁরা এখানে আসবেন, আর আমাদের সমস্যা আরও বেড়ে যাবে! চতুর্দিকে বিক্ষোভ হচ্ছে, আর সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। মোদিকে ঘিরে একদিকে যেমন মানুষের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে, তেমনই কেউ কেউ আবার এই বিক্ষোভকে ভালো চোখে দেখেননি। রবীন্দ্রসদন চত্বরে বাস ধরার জন্য অপেক্ষমাণ এক যাত্রী বলেন, রাজনৈতিক বা নীতিগতভাবে কেউ কাউকে পছন্দ নাও করতে পারেন। তবে এমন বিক্ষোভ রাজ্যের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক অফিসযাত্রীকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গণতন্ত্রে বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার রয়েছে। তাই বলে সব সীমা ছাড়িয়ে প্রতিবাদ, আন্দোলন মেনে নেওয়া যায় না। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে কোনও আন্দোলন করা উচিত নয়।